কলকাতা, 22 অক্টোবর: কড়া হাতে দমন করা হবে শব্দবাজির ব্যবহার । গতকাল কালীপুজো কমিটিগুলির সঙ্গে সমন্বয় বৈঠকে এমন বার্তা দিয়েছে কলকাতা পুলিশ । এর আগে শেষ মিটিংয়ে এবিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা । কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে । আজ দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকায় শুধু একটি গাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হল 620 কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি । এই ঘটনায় সুজন চক্রবর্তী এবং বাপন সংঙ্খারি নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
কলকাতায় উদ্ধার 620 কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি, গ্রেপ্তার 2 - নুঙ্গি এবং চাম্পাহাটি
আজ দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকায় শুধু একটি গাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হল 620 কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি । এই ঘটনায় সুজন চক্রবর্তী এবং বাপন সংঙ্খারি নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
কলকাতায় যে বাজি ঢোকে তার বেশিরভাগটাই দক্ষিণ 24 পরগনার নুঙ্গি এবং চাম্পাহাটি থেকে । হুগলির বেগমপুর উত্তর 24 পরগনা নারায়ণপুর থেকেও বাজি কলকাতায় আসে । এই এলাকাগুলিতে শহরে ঢোকার এন্ট্রি পয়েন্টে সাধারণভাবে নাকা তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশ । কিন্তু তারপরও অতীতে শব্দবাজি আটকাতে পারেনি কলকাতা পুলিশ । তাই এবার স্ট্র্যাটেজি কিছুটা বদলানো হয়েছে । এবার শহরের যে কোনও জায়গায় সন্দেহজনক কোনও গাড়িতেই তল্লাশি চালাবে কলকাতা পুলিশ । ঠিক সেভাবেই আজ দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকার বাস্কিউল ব্রিজে থামানো হয় একটি বোলেরো গাড়ি । গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় 24 টি কার্টন । যাতে 620 কেজি নিষিদ্ধ বাজি ছিল । এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সুজন চক্রবর্তী এবং বাপন সংঙ্খারি নামে দুজনকে । তারা বজবজ থানা এলাকার বাসিন্দা । পুলিশের অনুমান, ওই দুই ব্যক্তি বাজির ডেলিভারি দিতে এসেছিল ।
বহুদিন ধরেই কলকাতা শহরের শব্দবাজি নিষিদ্ধ । শব্দবাজির ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া আছে 60 ডেসিবেলের লিমিট । কলকাতা পুলিশের তরফে নিষিদ্ধ করা হয়েছে কয়েক ধরেনের বাজি । নিষিদ্ধ বাজির তালিকাও রয়েছে ৷ সেগুলি হল ক্র্যাকারস, ভুই পটকা, আগুনে পটকা বম্ব, ছুঁচো বাজি, উড়ন তুবড়ি, চটপটি, চকলেট বোমা, রকেট বা শব্দ উৎপাদনকারী যে কোনও বাজি ৷ আর্সেনিক সালফেট এবং পটাশিয়াম ক্লোরেট দিয়ে তৈরি বাজিও রয়েছে নিষিদ্ধ তালিকায় ।