কলকাতা, 25 নভেম্বর: শহর কলকাতায় 'রেফার কেসে'র শিকার ভবানীপুরের 62 বছরের বৃদ্ধা। প্রায় 12 ঘণ্টা ধরে সরকারি-বেসরকারি একাধিক হাসপাতাল ঘুরেও মিলল না বেড। কলকাতার একের পর এক নামজাদা হাসপাতালে ঘুরেও ফের বেড না-মেলায় উঠছে প্রশ্ন ৷ এখনও যথাযথ চিকিৎসার জন্যে অপেক্ষায় বাষট্টি বছরের শবরী চক্রবর্তী।
হৃদরোগে আক্রান্ত 62 বছরের সবরী চক্রবর্তী। কলকাতার ভবানীপুরের বাসিন্দা তিনি। তাঁর মেয়ে রূপসা চক্রবর্তী প্রথমে ওনাকে নিয়ে গিয়েছিলেন এমআর বাঙুর হাসপাতালে। সেখান থেকে রেফার করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে ৷ এসএসকেএম ঘুরে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে নিয়া যাওয়া হয় বৃদ্ধাকে ৷ পরে মা'কে নিয়ে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হন মেয়ে রূপসা। কিন্তু রোগীর পরিবারের অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বিষয়ে কথা বলার পরে হাসপাতালের তরফে জানানো হয় প্রথম দু'দিন কোনও ক্যাশলেস পেমেন্ট হবে না।
পরে বলা হয়, হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা নেই। অগত্যা সেখান থেকে তিনি শরণাপন্ন হন কলকাতার এক সরকারি হাসপাতালের (কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে) ৷ কিন্তু সেখানেও বেডের অভাব। শহরের পাঁচটি হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে আবারও বৃদ্ধাকে নিয়ে যাওয়া হয় এমআর বাঙুরে। ভরতি করানো হয় এমআর বাঙুর হাসপাতালে। এই হাসপাতালের তরফ থেকে স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে বিষয়টি । এই বিষয়ে স্বাস্থ্যসচিবকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের থেকে উত্তর চেয়েছেন, 'কেন বেড দেওয়া সম্ভব হল না রোগীকে'।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্য়মের তরফে স্বাস্থ্যসচিবকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে তাঁর জন্য বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপর মেয়ে রূপসা কলকাতা মেডিক্যালে তাঁর বৃদ্ধা মা'কে নিয়ে যান ৷ সেখানেই চিকিৎসা শুরু হয়েছে শবরী চক্রবর্তীর ৷ বেড সংকটের মাঝে বৃদ্ধার মেয়ে রূপসা চক্রবর্তীর অনুরোধ জানান, যেই হাসপাতালেই তাঁর মায়ের চিকিৎসা হোক না-কেন সেটি যেন সঠিকভাবে হয় এবং তিনি যেন তাঁর মাকে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন:
- মালদার পুনরাবৃত্তি বাঁকুড়ায়, বেহাল রাস্তার স্বীকার হয়ে পথেই মৃত্যু প্রসূতির
- বেহাল রাস্তার জেরে মৃত্যু বধূর, রাজ্য সরকার ও প্রশাসনকে দুষলেন বিজেপি সাংসদ খগেন
- মৃত চিকিৎসকের নামে চলছে রমরমা ব্যবসা, তিনটি ডায়গনেস্টিক সেন্টার সিল প্রশাসনের