কলকাতা, 11 নভেম্বর : লকডাউনের জের । ছেলের নির্দিষ্ট রোজকার কেড়ে নিয়েছে কোরোনা কাল । ছেলে এখন অনিয়মিতভাবে করছে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ । সেটা নিয়ে প্রতিবেশীদের মধ্যে যথেষ্ট গুঞ্জন ছড়িয়ে ছিল । খবর কানে আসে মায়ের । তৈরি হয়েছিল মানসিক অবসাদ । এরপর গতকাল দুপুরে উদ্ধার মায়ের ঝুলন্ত দেহ । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা করেছেন ওই মহিলা ।
নেতাজি নগর থানা এলাকার নাকতলায় তিনতলা বাড়ি রয়েছে মালতি বসুর । বয়স 58 বছর । স্বামী অমলেন্দু বসু প্রয়াত হয়েছেন আগেই । তিনি এখন থাকেন ছেলে এবং পুত্রবধূর সঙ্গে । মালতিদেবী থাকতেন তিনতলায় । ছেলে আর পুত্রবধূ থাকেন দোতলায় । একতলায় কয়েকটি দোকান ঘর ভাড়া দেওয়া রয়েছে । বছর দুয়েক আগে বিয়ে হয় ছেলের । একটা সময় পরিবারে স্বচ্ছলতা ছিল যথেষ্টই । লকডাউনের আগে পর্যন্ত ছেলের নির্দিষ্ট রোজগার ছিল । কিন্তু লকডাউনে কাজ হারান ওই যুবক । তারপর থেকে একটি বেসরকারি সিকিউরিটি সংস্থা কাজ শুরু করেছিলেন তিনি । বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন শুরু করে প্রতিবেশীরা । সেটা নিয়ে মানসিক অশান্তি চলছিল প্রৌঢ়ার ।