কলকাতা, 20 নভেম্বর: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে এক সোনা পাচারকারীকে রবিবার রাতে আটক করল বিএসএফ । কেরলের বাসিন্দা ওই পাচাকারীর অন্তর্বাসে প্রায় 58 লাখ 36 হাজার 350 টাকার সোনার পেস্ট লুকানো ছিল । বিএসএফের ফ্রিস্কিং পয়েন্টে মেটাল ডিটেক্টরে ধৃতের শরীরে সোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে । বাজেয়াপ্ত সোনার পেস্টের ওজন 949 গ্রাম । আটক করার পর তাকে পেট্রাপোল কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হয় ৷ এদিকে এই নিয়ে চলতি সপ্তাহে বিএসএফ তৃতীয়বার বড় অঙ্কের সোনা বাজেয়াপ্ত করে ৷
বিএসএফের দাবি, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জওয়ানরা এক সপ্তাহের মধ্যে তিনটি সোনা চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে ৷ সূত্রের খবর, গতকাল দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের পেট্রাপোলের জওয়ানরা এক ভারতীয় চোরাকারবারীকে আটক করেন । শাক্কির পামবাথুভালাপ্পিল সুলাইমান নামের ওই ধৃত ব্যক্তি অন্তর্বাসে লুকিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিল । রুটিন তল্লাশির সময় পাসপোর্ট নং X5483114-সহ নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্সের জন্য বিএসএফ ফ্রিস্কিং পয়েন্টে তাকে পাকড়াও করা হয় । মেটাল ডিটেক্টরে তার শরীরের নীচে একটি ধাতব পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যায় । শুরু হয় ব্যাপক তল্লাশি । সেই সময় যাত্রীর কাছ থেকে জেল আকারে সোনার একটি প্লাসটিকের প্যাকেট উদ্ধার করা হয় । যা তার অন্তর্বাসে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল । সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করে জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয় ।
বিএসএফ জানিয়েছে, 36 বছর বয়সি ধৃত ব্যক্তি কেরলের ত্রিশুর জেলার বাসিন্দা । জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে জানায়, দুবাই থেকে বিমানে আসার সময় তার দুই বন্ধু আবিদ র/ও ভিল-পারমবুলিবু তাকে ওই সোনা কলকাতায় নিয়ে যেতে বলেছিল । এই কাজের জন্য আবিদ তাকে 20 হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় । এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে চালানটি নিয়েছিল সে । চালানটি নিয়ে বিমানে ঢাকায় আসেন । তারপর বাসে বেনাপোল ৷ কিন্তু, প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে কর্তব্যরত ব্যক্তি তাকে তল্লাশি করে এবং সোনার চালান-সহ আটক করে ।
এই ঘটনায় বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গের জনসংযোগ আধিকারিক ডিআইজি একে আর্য্য এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন । তিনি বলেন, "কুখ্যাত চোরাকারবারিরা গরিব ও নিরীহ মানুষকে অল্প পরিমাণ অর্থের প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে । কুখ্যাত চোরাকারবারীদের দল সরাসরি চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িত নয়, তাই তারা দরিদ্র মানুষকে টার্গেট করে ।"