কলকাতা, 23 জানুয়ারি : শহরের প্রাণকেন্দ্রকে দূষণ মুক্ত রাখতে একসময় ময়দান থেকে কলকাতা বইমেলা সরিয়ে সল্টলেকে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে পাকাপাকিভাবে সরে যায় বইমেলা ৷ 44তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলাকে পরিবেশ বান্ধব বলে গতকাল ঘোষণা করেছে বুক সেলার্স গিল্ড ৷ পাশাপাশি, শহরের বেশকিছু বৃদ্ধাশ্রমে বই দেওয়া হবে বলে গিল্ডের পক্ষ থেকে জানা গেছে ৷ গত বছর অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন, বইমেলায় যাওয়ার রুটের অটোর ভাড়া অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল ৷ এবার সেই বিষয়েও নজর দেওয়া হচ্ছে বলে গিল্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ৷
একসময় কলকাতার ফুসফুস ময়দানকে দূষণমুক্ত রাখতে বইমেলাকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে এভাবে বইমেলা সরে যাওয়ায় অনেকেই দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন ৷ বইমেলা চলাকালীন প্রগতি ময়দানের মতো জায়গায় কীভাবে যাতায়াত করা যায়, তা ভেবেই অনেকে অস্তির হতেন ৷ কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত সল্টলেকই হয়ে ওঠে বইমেলার স্থায়ী ঠিকানা ৷ কয়েক বছর ধরে বইমেলা চত্বরকে প্লাস্টিক মুক্ত করার চেষ্টা চলছে ৷ এবার 44তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব বলে ঘোষণা করেছে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড ৷ এর জন্য মেলা চত্বরে সাইকেল স্ট্যান্ডও রাখা হবে ৷ তবে কতটা পরিবেশ বান্ধব রাখা সম্ভব হবে ? গিল্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে ৷ বাকিটা নির্ভর করছে সাধারণ মানুষের উপর ৷ 29 জানুয়ারি বিকেল চারটেয় সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে বইমেলার উদ্বোধন ৷ এবারের থিম রাশিয়া ৷ গিল্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবারের বইমেলায় থাকছে 602টি স্টল এবং 200টি লিটল ম্যাগাজিনের স্টল ৷ দু’টি হল থাকছে ৷ একটি নবনীতা দেবসেন ও অন্যটি গিরীশ কারনাডের নামে ৷ মেলায় প্রবেশের জন্য থাকবে ন’টি গেট৷ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের নামে লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়নের নামকরণ করা হচ্ছে৷ মিডিয়ার জন্য থাকবে প্রয়াত শুভা দত্ত-র নামে মিডিয়া কর্নার ৷ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবাও থাকবে মেলা চত্বরে ৷