কলকাতা, 23 জুন :269 জনের চাকরি বাতিল, বেতন বন্ধ এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । কিন্তু বৃহস্পতিবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে শুনানিতে সঠিক যুক্তিই খাড়া করতে ব্যর্থ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Recruitment Scam)।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও লাপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান, 269 প্রার্থীর চাকরি বাতিল ও বেতন বন্ধ করা হয়েছে এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চ । সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এনআইসি (National Informative Centre) কে তথ্য সংরক্ষণ করারও নির্দেশ দেওয়া হয় । যদিও আইনে কোনও প্রভিশন নেই তা সত্ত্বেও বোর্ডের সামনে আন্দোলনের কারণে এবং প্রশ্ন ভুলের নম্বর যুক্ত করার পরে এক সেকেন্ড প্যানেল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় পর্ষদ ।
আরও পড়ুন :TET Candidates Protest : চাকরির দাবিতে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বিক্ষোভ, উত্তেজনা হাজরায়
মামলায় 1 নম্বর দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি কোথাও । যারা চাকরি পেয়েছেন বা যাদের 1 নম্বর করে দেওয়া হয়েছে মামলাকারী তাদের মধ্যে পড়ে না । যিনি যোগ্য তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে এই রকম কোনও অভিযোগ এই মামলায় নেই ।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় 13 জুনের নির্দেশে জানিয়েছিলেন, রাজ্য পুলিশের দক্ষতা নিয়ে তার সন্দেহ নেই কিন্তু তারা রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা পরিচালিত । ফলে নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব নয় । আদালতের এই ধরনের পর্যবেক্ষণ থেকে বলা যায় মামলাকারীদের আর্জির বাইরে গিয়ে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন । আবেদনকারী কোথাও ফৌজদারি অপরাধের বিচার করার আবেদন জানায়নি । একটা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার আগে যে ধরনের তথ্যপ্রমাণ লাগে তা না-দেখেই বিচারপতি সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার দিয়েছেন ।
তখন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার প্রশ্ন করেন, আপনারা যখন প্রশ্ন ভুলের কারণে এক নম্বর করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন তখন সেটা 2014 সালের সমস্ত প্রার্থীরই সেই নম্বর পাওয়ার কথা? না-হলে তো কোর্টের কাছে আরও মামলা আসবে তাদের নম্বর দেওয়ার দাবি নিয়ে !