কলকাতা, 20 মার্চ: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় 36 ঘণ্টার বেশি ম্যারাথন তল্লাশি চলেছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রমোটার অয়ন শীলের সল্টলেকের ফ্ল্যাটে ৷ সেই তল্লাশিতে চক্ষু ছানাবড়া ইডি আধিকারিকদের (2014 Corruption Investigation by ED) ৷ 2014 সালের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে 2012 সালের নথি (2012 Recruitment Documents Recovers) ৷ সেই সময়কার চাকরিপ্রার্থীদের নাম ও উত্তরপত্র বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা ৷ রবিবার সারাদিন অয়ন শীলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা ৷
উল্লেখ্য, 2014 সালের নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে প্রথম সিবিআই এবং পরবর্তী সময়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তদন্তে নামে ৷ এই তদন্তে নেমে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাথমিক শিক্ষা, মধ্যশিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে জড়িয়েছেন ৷ আর সম্প্রতি সেই তদন্তে সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূলের যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম যোগ হয়েছে ৷ আর তাঁকে জেরা করেই সল্টলেকের প্রমোটার অয়ন শীল পর্যন্ত পৌঁছেছে ইডি ৷ তাঁর সল্টলেকের ফ্ল্যাটে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি, চাকরিপ্রার্থীদের নাম এবং উত্তরপত্র পেয়েছেন তদন্তকারীরা ৷ আর সেই সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে 2012 সালের নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও ৷
ইডি সূত্রে খবর, 2012 সালের চাকরিপ্রার্থীদের নাম ও তাঁদের উত্তরপত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৷ ফলে তদন্তকারী আধিকারিকদের সন্দেহ, তবে কি 2012 সালেও নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল ? তা না হলে, 2014 সালের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে, কীভাবে 2012 সালের নথি উদ্ধার হয় ? তবে, কি এই চক্রান্তের জাল আরও আগে থেকে বোনা শুরু হয়েছিল ? এমনই নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মাথায় ৷