বিধাননগর, 9 জুলাই : 18 জুলাই ভাগ্য নির্ধারণ সব্যসাচী দত্তর । অনাস্থা প্রস্তাবে বিধানসভার মেয়র সব্যসাচী দত্তকে তাঁর সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে । আজ অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছেন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় । চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী প্রস্তাব গ্রহণ করে জয়েন্ট কমিশনারের কাছে তা পাঠিয়ে দিয়েছেন ।
জানা গেছে, আগামীকাল বিধাননগর পৌরনিগমের বোর্ড মিটিং রয়েছে । তবে সেই মিটিংয়ে অনাস্থা নিয়ে কোনও আলোচনা হচ্ছে না এমনটাই বিধাননগর পৌরনিগম সূত্রে খবর । তবে আগামীকালের বোর্ডমিটিংয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি যে হবে তা বলাই বাহুল্য । কারণ সব্যসাচী দত্তর আচরণে চটেছেন দলেরই একাংশ । তাই বিক্ষুব্ধ মেয়র বিরোধীদের জন্য আগামীকালের বোর্ডমিটিং সুবর্ণ সুযোগ । আর এই সুযোগ হাতছাড়া করবেন না এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী । তিনি আজ জানিয়েছেন আগামীকালের বোর্ডমিটিংয়ে কোনও রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করা হবে না । শুধুই পৌর পরিষেবা নিয়ে আলোচনা হবে ।
মোট 35 জনের সই নিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব সব্যসাচীর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে । বিধাননগর পৌরনিগমের মোট 41 জন কাউন্সিলর রয়েছেন । তাঁদের মধ্যে দুই কাউন্সিলর CPI(M)-এর । একজন কংগ্রেসের । তৃণমূলের তরফ থেকে মাত্র তিনজন সই করেননি । বাকি 35 জনই সই করেছেন । যাঁরা সই করেননি তাঁদের মধ্যে অন্যতম শিবু ভান্ডারি ও প্রসেনজিৎ সরদার সব্যসাচী দত্তর অনুগামী বলেই এলাকায় পরিচিত । প্রশাসনিক সূত্রে খবর, 18 জুলাই গোপন ব্যালটে অনাস্থা প্রস্তাব পাস করাতে হবে । সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে সব্যসাচী দত্তকে ।
যদিও, সব্যসাচী দত্ত এখনই হাল ছাড়তে নারাজ । তাঁর সোজা সাপটা জবাব, "যা হবে কর্পোরেশন অ্যাক্ট অনুযায়ীই হবে । মিটিংয়ের চিঠি যতক্ষণ না পাব ততক্ষণ এটা নিয়ে আলোচনা করে আপনাদের থেকে শুনে আমি কাকে কান নিয়ে গেছে বলে কাকের পেছনে দৌড়াতে পারব না । আমি তো জানি অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে 40 জন হওয়ার কথা ।"
গতকাল ফিরহাদ হাকিম তাঁকে মিরজাফর বলেন । সেবিষয়ে কী বলবেন ? প্রশ্ন করলে সব্যসাচী দত্ত বলেন, "ববিদা আমার দাদার মতো । আমার পরিবারের দরজা আগেও তাঁর জন্য খোলা ছিল । আগামীদিনেও থাকবে ।" তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে কি আদৌ পারবেন ? উত্তরে তিনি বলেন, "দেখুন না কী হয় । কর্পোরেশন অ্যাক্টে যা আছে তাই হবে । যদি আবার সেরকম কোনও ঘটনা হয় তাহলে বিরোধীদলে থাকব । আগেও তো বিরোধীদলে থেকেছি।"