নূর আমিনের 13 দিনের পুলিশি হেফাজত আলিপুর, 22 জুলাই:শেখ নূর আমিনকে 13 দিনের পুলিশি হেফাজত দিল আলিপুর পুলিশ আদালত ৷ নূর আমিনের মামলায় সরকারি আইনজীবী সৌরেন ঘোষাল বলেন, "আমরা পুলিশি হেফাজতের আবেদন করেছিলাম ৷ 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছিল ৷ আদালত সবদিক বিচার বিবেচনা করে 13 দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷" অর্থাৎ 3 অগস্ট পর্যন্ত নূর আমিনের পুলিশ হেফাজতে থাকবেন । তাঁর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছে বলে সরকারি আইনজীবী জানান ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক-সহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন শেখ নূর আমিন ৷ তাঁকে শনিবার কালীঘাট থানার তরফে তোলা হয় আলিপুর পুলিশ আদালতে । এ দিন আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন নূর আমিনের স্ত্রী এবং স্ত্রীয়ের বান্ধবী । সঙ্গে ছিলেন নূরের আইনজীবী ।
নূর আমিনের আইনজীবী শেখ কিশানূর বলেন, "নূরের যেখানে যেখানে চিকিৎসা হয়েছে সেই কাগজপত্র ইতিমধ্যেই আদালতে জমা করেছি । তাঁর গাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্রের মত দেখতে একটি লাইটার ছিল ৷ সেটার জন্য কীভাবে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হতে পারে, এই ব্যাপারটাও আদালতের কাছে তুলে ধরা হয়েছে ।" এছাড়াও তাঁর আইনজীবী বলেন, "নূরের গাড়িতে একটি বেসবলের ব্যাট এবং কুরপি পাওয়া গিয়েছে ।"
আইনজীবী জানান, নূরের ছেলে বেসবল খেলতে ভালোবাসে ৷ আর তার জন্যই নূর একটি বেসবল খেলার ব্যাট গাড়িতে রেখেছিলেন ৷ ছেলেকে উপহার দেওয়ার জন্য । এছাড়াও আদালতে নূরের আইনজীবীর তরফ থেকে বলা হয়েছে, তিনি ইন্টেরিয়ার ডিজাইনের কাজ করেন ৷ ফলে তাঁর কাছে একটি কুরপি থাকা স্বাভাবিক ৷ এটি তাঁর কাজের জন্য ব্যবহৃত হয় । মানসিক ভারসাম্যহীন নূর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি কাছে কেন গিয়েছিলেন এবং আইডি কার্ড গুলো কী কারণে গাড়িতে ছিল, সেই বিষয়ে পুলিশ কিছু বলতে পারছে না বলে আদালতে আইনজীবী দাবি করেন ৷ এদিন নূরের আইনজীবী শেখ কিশানূর জামিনের আবেদন চেয়ে আদালতে আর্জি জানান । পালটা সরকারি আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন ।
আরও পড়ুন:নূরের সঠিক পরিচয় জানতে বিএসএফ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করছে লালবাজার
জানা গিয়েছে, আনন্দপুর থানা এলাকার মার্টিন পাড়া লেনে থাকেন শেখ নূর আমিন ৷ তাঁর ইন্টেরিয়ারের ব্যবসা ছিল । তাঁর বাড়ি নীচেই তাঁর ব্যবসা চলত ৷ বছর খানেক আগে একটি গাড়ি কেনেন নূর । কিন্তু এলাকার বাসিন্দারা দাবি করেছে, গাড়ি কেনার এক সপ্তাহ পর থেকেই তাতে পুলিশ এবং জাতীয় মানবাধিকার সংস্থার স্টিকার লাগিয়ে ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন নূর । চারচাকা গাড়ি কেনার পর তিনি একটি দামি বাইকও কিনেছিলেন বলে জানা গিয়েছে । ওই বাইকটি এখনও রাখা রয়েছে নূর আমিনের বাড়ির সামনে বলে খবর । নূরের কাছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফের আইডি কার্ড কীভাবে পৌঁছল, তা জানার জন্য ইতিমধ্যেই বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কলকাতা পুলিশ ।