পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

বন্দরে নতুন করে কোরোনা আক্রান্ত 10 জন - corona news updates

বন্দরে এখনও পর্যন্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা 13। তাঁদের মধ্যে তিনজন বন্দরের নিজস্ব কর্মী, সাত জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী এবং পূর্বের আক্রান্ত তিন জন ।

ছবি
ছবি

By

Published : May 26, 2020, 7:14 PM IST

কলকাতা, 26 মে : নতুন করে কোরোনা আক্রান্ত বন্দরের আরও দশ কর্মী । এদের মধ্যে তিনজন বন্দরের নিজস্ব কর্মী, সাত জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী । এনিয়ে এখনও পর্যন্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা 13। পূর্বে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ছ'জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন । এর পাশাপাশি আরও চারজন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে বন্দরের সুরক্ষায় নিযুক্ত 2 CISF জওয়ান রয়েছেন।

পোর্টট্রাস্ট সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে ন'জনের শরীরে কোরোনা সংক্রমণ মেলে । তাঁদের মধ্যে দু'জন চুক্তিভিত্তিক প্যাথলজি টেকনিশিয়ান, একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, তিনজন হাউসকিপিং স্টাফ । বাকি তিনজন এদের পরিবারের সদস্য। চুক্তিভিত্তিক কর্মী হলেও তাঁদের চিকিৎসার পুরো দায়িত্ব নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আলিপুরে বন্দরে নিজস্ব সেন্টিনারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁদের। আজ সেই হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়েছেন ছ'জন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা 13। তাঁদের মধ্যে তিনজন বন্দরের নিজস্ব কর্মী, সাত জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী এবং পূর্বের আক্রান্ত তিন জন । এর মাঝেই কোরোনা সন্দেহে চিকিৎসা শুরু হয়েছে আরও চারজনের। তাঁদের মধ্যে একজন বন্দরের স্টাফ, দুজন CISF জওয়ান এবং একজন বন্দরের প্রাক্তন কর্মীর স্ত্রী। তাঁদের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিবহনে বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । লকডাউনেও বন্দরের কাজ-কর্ম চলছে । দেশের বিদ্যুৎ সংযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে প্রয়োজন কয়লা। আবার গৃহস্থলীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ LPG । লকডাউনের মাঝে এই জিনিসগুলির সরবরাহ জরুরি। আর এক্ষেত্রে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে চলেছে বন্দর। এরমাঝেই 4 এপ্রিল সকালে জানা যায়, নিজ়ামুদ্দিন ফেরত এক ইঞ্জিনিয়র কোরোনায় সংক্রমিত। সেই খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে হলদিয়া বন্দরে। যার প্রভাব পড়ে কলকাতা বন্দরেও। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, হলদিয়া বন্দরের শ্রমিকরা কাজ ছেড়ে দিয়ে বাড়ি চলে যান। তারপর ব্যাপক স্যানিটাইজ়েশন শুরু করে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ। বন্দরের বিভিন্ন বার্থ, অফিস,এমনকি ক্যান্টিনেও স্যানিটাইজ়েশন করা হয়। তারপর প্রত্যেককে কাজে ফিরতে অনুরোধ জানানো হয়। পরে কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ শুরু হয়ে যায়। বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, সামাজিক দূরত্ব মেনেই পুরো কাজ চলছে । শ্রমিকদের শরীরের দিকে নজর রাখতে ইতিমধ্যেই ক্লিনিক তৈরি করেছে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট । চিকিৎসক এবং প্যারামেডিকেল স্টাফরা রয়েছেন সেখানে। কিন্তু এর মাঝে নতুন করে সংক্রমণ দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details