কলকাতা, 31 মার্চ : বিস্ফোরকের কারবার। কোনও জঙ্গি কার্যকলাপের মোডাস অপারেন্ডি এখনও পায়নি কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা STF। টালা ব্রিজে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় বরং পাওয়া যাচ্ছে অন্য এক গল্প। উত্তর 24 পরগনার বিস্তীর্ণ অংশে বেআইনি মশলা দিয়ে তৈরি হয় বাজি। সেই সূত্রে পটাশিয়াম নাইট্রেট জোগান দিচ্ছিল ওড়িশার বালাসোরের একটি কম্পানি। ওই বিস্ফোরক যাচ্ছিল নৈহাটি এলাকায়। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ত জেলার বিভিন্ন অংশে। ঘটনায় আরও এক চক্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে এই ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
1000 কেজি বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার বোমা মুস্তাফা
উত্তর 24 পরগনার বিস্তীর্ণ অংশে বেআইনি মশলা দিয়ে তৈরি হয় বাজি। সেই সূত্রে পটাশিয়াম নাইট্রেট জোগান দিচ্ছিল ওড়িশার বালাসোরের একটি কম্পানি। ওই বিস্ফোরক যাচ্ছিল নৈহাটি এলাকায়। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ত জেলার বিভিন্ন অংশে।
নামটা পাওয়া গেছিল ধৃতদের জেরা করে। মুস্তাফা শেখ ওরফে বোমা মুস্তাফা। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরে। বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে ধরা পড়ার পর পালায় সে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। অবশেষে ওড়িশা থেকে গ্রেপ্তার করা হল তাকে।
এর আগে এই ঘটনায় ইন্দ্রজিৎ ভুঁই এবং পদ্মলোচন দে ধরা পড়ে টালা ব্রিজের উপরেই। বালাসোরের যে কারখানা থেকে ওই বিস্ফোরক আনা হচ্ছিল, সেই কারখানার মালিককেও পরে গ্রেপ্তার করে STF। যেভাবে বেআইনি বিস্ফোরক আদান প্রদান হচ্ছিল তাতে ঘটতে পারত বড় কোনও ঘটনা। ওই বিস্ফোরক জঙ্গিদের হাতে গেলে তা ভয়ানক হতে পারত। পুলিশ বোমা মুস্তাফাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বোঝার চেষ্টা করছে সত্যিই কি বাজি তৈরিতে ব্যবহার হত এই বিস্ফোরক। না কি বাজিকে সামনে রেখে বড় কোনও ষড়যন্ত্র রচনা করা হচ্ছিল? আপাতত সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে কলকাতা পুলিশের STF।