কালিম্পং, 5 অক্টোবর: এলাকার 11 জন পাহাড়বাসী নিখোঁজ ৷ কালিম্পং জেলার বাসিন্দা এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে ৷ প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি পরিবার সিকিমের হড়পা বানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ তবে প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি পুনর্নির্মাণ করে দেবে জিটিএ ৷ বৃহস্পতিবার কালিম্পং জেলায় হড়পা বানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের একথা জানান জিটিএ'র চিফ এগজিকিউটিভ অনিত থাপা ৷
সিকিমের হড়পা বানের খবর পেয়েই নিজের কলকাতা সফর বাতিল করে তড়িঘড়ি পাহাড়ে ফিরে আসেন জিটিএ-র চিফ এগজিকিউটিভ অনিতা থাপা ৷ রাতেই কালিম্পং পৌঁছন তিনি ৷ বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান পাহাড়ের এই নেতা ৷
সেখানে জিটিএ, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠক সারেন তিনি ৷ বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "পরিস্থিতি খুবই খারাপ ৷ আমরা ভাবতে পারিনি এরকম অবস্থা হবে ৷ ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে এবং সেই কমিটিতে আমাকেও রাখা হয়েছে ৷ রাজ্য সরকার এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সবই জানে ৷ এখন আমরা বিপর্যয় মোকাবিলা এবং ত্রাণ ব্যবস্থার উপরে বেশি জোর দিচ্ছে ৷ প্রচুর পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ যারা পড়াশোনা করে, তাদেরকে পেইং গেস্ট হিসেবে রেখে পড়াশোনার বন্দোবস্ত করা হবে ৷ যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, ধীরে ধীরে তাঁদের বাড়িঘর তৈরি করে দেওয়া হবে ৷"