ঝাড়গ্রাম, 30 অগাস্ট : জঙ্গলমহল কি আবার ফিরতে চলেছে 2009-10-এর পটভূমিতে ? আবার সেই খুন । রাতের পর রাত এক-এক জনকে তুলে নিয়ে গিয়ে সালিশিসভা বসিয়ে মারধর । ফের আতঙ্কের পরিবেশ ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়িতে । কারণ একাধিক জায়গায় পাথর চাপা অবস্থায় পাওয়া গেল হুমকি চিঠি ৷ চাওয়া হল টাকা ।
টাকা চেয়ে চারজনের বাড়ির সামনে হুমকি চিঠি ! ফের মাওবাদী আতঙ্ক বেলপাহাড়িতে - মাওবাদী হামলা
গতমাসে ঝাড়গ্রামে টাকা চেয়ে মাওবাদীদের নাম করে পোস্টার পড়েছিল ৷ আর 27 অগাস্ট খুনের চেষ্টা করা হয় গ্রামেরই একজনকে ৷ ফের আতঙ্ক ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি এলাকায় ।
মাওবাদীদের নাম করে টাকা চেয়ে চার জনের বাড়ির সামনে রাখা হল চিঠি ৷ সেই চিঠিকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি ব্লকের বাঁশপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁকুড়া সীমান্ত ঘেঁষা পঁচাপানি গ্রামে । 25 জুলাই গ্রামের এক কন্ট্রাক্টর তথা গ্যাসের এজেন্ট বিদ্যুৎ দাস, শিক্ষক তরুণ মণ্ডল, LIC এজেন্ট লক্ষীকান্ত দাস, দোকানদার সুশীল মণ্ডলের বাড়ির দরজার সামনে পাথর চাপা দেওয়া অবস্থায় চিঠি পড়ে থাকতে দেখা যায় । চিঠিতে বলা হয়, 28 জুলাইয়ের মধ্যে টাকা দিতে হবে । টাকা না দিলে পরিবারের সদস্যদের খুন করা হবে । ওই ব্যক্তিরা প্রথমদিকে বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও চিন্তা বাড়িয়েছে গত 27 আগস্ট রাতে গ্রামের মধ্যে এক বিকট আওয়াজ । বিদ্যুৎ দাস বলেন, "আমি ছাদ থেকে টর্চ মারতেই নিচ থেকে গেঞ্জি পরা ও মুখে গামছা দেওয়া একজন গুলি করে । ভয়ে আমি ও আমার স্ত্রী সরে যাই । তারপরই ওই লোকটি জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায় । " বিষয়টি জানাজানি হতেই গ্রামের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৌরি হয়েছে । কোনও ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে থানায় এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি । যদিও ওই দিনের পর থেকেই পঁচাপানি গ্রামে রাতে চলছে পুলিশি টহল ।
এবিষয়ে ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠোর বলেন, " বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে । " শিক্ষক তরুণ মণ্ডল বলেন, "ভোরে যখন ছেলে দৌড়তে যায় ঠিক সেই সময় পাথর চাপা দিয়ে একটি চিঠি দরজার সামনে পেয়েছি । তাতে লেখা ছিল যথোপযুক্ত টাকা না দিলে খুন করা হবে । এটা পেয়ে খুব আতঙ্কে রয়েছি । এরপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারি গ্রামের এরকম 3-4 জনকে সেই চিঠি দিয়েছে মাওবাদীরা । তা ছাড়া একদিন রাতের অন্ধকারে বন্দুক নিয়ে ওরা আমার বাড়িতে খুন করতে এসেছিল ৷ অল্পের জন্য বেঁচে যাই আমি । এখন আমি ও গ্রামের লোকেরা আতঙ্কে রয়েছি । "