ঝাড়গ্রাম, 8 অক্টোবর : অবশেষে খোঁজ মিলল ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানার এনক্লোজার থেকে পালিয়ে যাওয়া চিতাবাঘের ৷ এনক্লোজার থেকে বেরিয়ে সে চিড়িয়াখানার মধ্যে থাকা শালের ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে ৷ বন দফতরের কর্মীরা চিতা বাঘটিকে কাবু করার চেষ্টা করছেন ৷ তার জন্য চিতাবাঘটির আশপাশে পটকা ফাটানো হচ্ছে ৷ ঝাড়গ্রামের বিধায়ক তথা বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, বাঘটিকে পাওয়া গেছে ৷ চিড়িয়াখানার মধ্যেই সে রয়েছে ৷
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে চিতাবাঘ হর্ষিনীকে তার এনক্লোজারে দেখা যাচ্ছিল না ৷ এনক্লোজারের মধ্যে খোঁজাখুজি করেও তার হদিস পাওয়া যায়নি ৷ এর পরেই দ্রুত বন দফতরে খবর দেওয়া হয় ৷ জানানো হয়, এনক্লোজার থেকে একটি স্ত্রী চিতাবাঘ উধাও হয়ে গিয়েছে ৷ দ্রুত ঝাড়গ্রাম শহরে সতর্কতা জারি করা হয় ৷ এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই চিড়িয়াখানার আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ৷ রাতভর বন দফতরের কর্মীরা চিড়িয়াখানার ভিতরে এবং আশপাশের অঞ্চলে খোঁজাখুজি শুরু করে ৷ অবশেষে আজ সকালে চিড়িয়াখানার মধ্যেই শাল বনে চিতাবাঘটিকে দেখা যায় ৷ বনকর্মীরা তাঁকে বাগে আনতে পটকা ফাটাচ্ছে ৷
প্রসঙ্গত, 2011 সালে ঝাড়গ্রাম ডিয়ার পার্কের নাম পরিবর্তন করে জঙ্গলমহল জুওলজিক্যাল পার্ক নাম রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এমনকি ওই চিড়িয়াখানার পরিসরও বাড়ানো হয় ৷ তার কয়েকবছর পর উত্তরবঙ্গের খয়েরবাড়ি পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে দু’টি চিতাবাঘকে জঙ্গলমহল জুওলজিক্যাল পার্কে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ গত বছর ওই একটি চিতাবাঘ শাবকের জন্ম দেয় ৷ তার পর থেকেই জঙ্গলমহল জুওলজিক্যাল পার্কে পর্যটকদের ভীড় হতে শুরু করে নতুন শাবক দু’টিকে দেখার জন্য ৷