ঝাড়গ্রাম, 25 মে : ঝাড়গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে ঘূর্ণিঝড় যশ । সে কথা জানার পরেই আরও বেশি করে তোড়জোড় শুরু করেছে ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ-প্রশাসন । ঝাড়গ্রাম জেলায় কেন্দ্রীয় ভাবে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে । পাশাপাশি জেলার 8 টি ব্লকের বিডিও অফিসে একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে । প্রতি ব্লকে বিডিও, থানার আইসি, ওসি এবং বিএমওএইচদের নিয়ে একটি কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করা হচ্ছে । ব্লক স্তরে গঠন করা হচ্ছে একটি করে কুইক রেসপন্স টিম ।
ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক জয়সি দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, "জিওলজি দফতর থেকে ম্যাপিং করে বলেছে কাঁথি এলাকা দিয়ে ঢুকে ঝাড়গ্রামের উপর দিয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । যদিও এটা পরবর্তী কালে পাল্টাতে পারে । সেই মত আমরা প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় টিম গঠন করতে বলেছি । যাতে সহজেই মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা যায় । জেলার প্রতিটি হাসপাতালে 48 ঘন্টা অক্সিজেন মজুত ও বিদ্যুৎ ব্যাকআপ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি বিএসএনএলের সঙ্গে কথা বলে মোবাইল টাওয়ারের পক্ষ থেকে জায়গায় জায়গায় টিম রাখা হচ্ছে । যাতে মোবাইল পরিবেষা সচল রাখা যায় । জেলা জুড়ে আড়াই হাজার ত্রাণ ও ত্রিপল প্রতি ব্লকে আগের থেকেই পাঠানো হয়েছে । অযথা আতঙ্কিত হবেন না, বাড়িতে থাকুন সতর্ক থাকুন ।"
তিনি আরও বলেন, " বিশেষ করে সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী গোপীবল্লভপুর 1 ও 2 নম্বর ব্লক, নয়াগ্রাম, সাঁকরাইল, ঝাড়গ্রাম, জামবনির উপর বিশেষ নজরদারি শুরু হয়েছে। ঝড়ের জন্য এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অ্যালার্ট থাকতে বলা হয়েছে। যাতে ঝড়ে ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত গেলে সেখানকার বাসিন্দাদের বিদ্যালয়ে নিয়ে এসে রাখা যায়। আইসিডিএস সেন্টার, শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, প্রাথমিক ও হাইস্কুলগুলিতে ত্রাণ শিবিরের সমস্ত রকমের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। 2019 সালে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম, সাঁকরাইল ও গোপীবল্লভপুর ব্লকে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ।"