ঝাড়গ্রাম, 24 অগস্ট: পথ দুর্ঘটনায় বাদ গিয়েছে একটি পা ৷ তাতেও স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি ঝাড়গ্রামের উত্তর বামদার বাসিন্দা সুমন্ত মুর্মু ৷ মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন সফল না-হলেও থেমে থাকেননি তিনি ৷ পথ বদলেছে তাঁর স্বপ্ন ৷ চলতি মাসেই তাইল্যান্ডের পাটায়াতে অনুষ্ঠিত 16তম ওয়ার্ল্ড ড্রাগন বোট রেসিং চ্যাম্পিয়নশিপ-2023-তে অংশ গ্রহণ করেছিলেন ভারতের হয়ে ৷ সেখান থেকেই দেশকে এনে দিয়েছেন সোনা ও ব্রোঞ্জের পদক ৷
বছর 37-এর সুমন্ত ছোট থেকেই ভালো খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত এলাকায় । যেকোনও স্কুল স্পোর্টসে সুমন্ত অংশগ্রহণ ছিল নজরকাড়া ৷ কাজের পাশাপাশি পর্বত আরোহন ছিল সুমন্ত’র নেশা ৷ একটি সংস্থার কাছ থেকে পাহাড়ে চড়ার প্রশিক্ষণ নিয়ে ছিলেন । মাউন্ট এভারেস্ট জয় করার স্বপ্ন নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে একটি সংস্থা থেকে পাহাড়ে চড়ার দু'মাসের কোর্স করেন । হিমাচল প্রদেশের মাউন্ট রামজাক (6918 মিটার) পর্বতশৃঙ্গ জয়লাভ করে পর্বতশৃঙ্গ জয়ের স্বাদ পায় সুমন্ত । কিন্তু 2017 সালের 13 নভেম্বর সুমন্তর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার । ডেবরার কাছে ট্রলারের ধাক্কায় সুমন্তর ডান পা হাঁটু থেকে কাটা পড়ে । মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায় । দমে থাকেননি তিনি ৷ সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় খুঁজতে থাকেন ৷
আরও পড়ুন:যাদবপুরের তদন্তে অসহযোগিতা করছেন ধৃত জয়দীপ ঘোষ, আদালতে দাবি পুলিশের
জানতে পারেন প্রতিবন্ধীদের জন্য জাতীয়স্তরে বিভিন্ন খেলা রয়েছে । ফিরে আসার পর রাজ্যস্তরের বিভিন্ন খেলায় শট-পুট, জ্যাভলিং, ডিসকাস এই তিনটি খেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে 3টি সোনার মেডেল পেয়েছিলেন । এই জয় মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছিল ৷ সুমন্ত যোগাযোগ করেন বেঙ্গল ড্রাগন বোর্ড এন্ড ট্রেডিশনাল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে । প্যারা ড্রাগন বোর্ডের জন্য বাংলা দলের জন্য নির্বাচিত হন সুমন্ত । তারপর চলতি বছরের মার্চ মাসে বিহারে মাতিহারীতে অনুষ্ঠিত জাতীয় স্তরের ড্রাগন বোট প্রতিযোগিতায় বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে স্বর্ণপদক নিয়ে আসেন ৷