ঝাড়গ্রাম, 20 ডিসেম্বর:নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণের ঘটনায় গৃহশিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করল ঝাড়গ্রাম পকসো আদালত ৷ গৃহশিক্ষককে 21 বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ৷ মঙ্গলবার ওই আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় সাজা ঘোষণা করেন । তদন্তকারীদের তৎপরতায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার বছর খানেকের মধ্যেই বিচার পেল নির্যাতিতা।
পকসো আদালতের বিশেষ সরকারি আইনজীবী তপনকুমার চৌধুরী জানান, গৃহশিক্ষককে 21 বছর কারাবাসের সাজার পাশাপাশি, 6 হাজার টাকা আর্থিক জরিমানাও করেছেন বিচারক । টাকা অনাদায়ে অতিরিক্ত 3 মাস 10 দিন কারাবাসের নির্দেশ হয়েছে । সরকারি আইনজীবী বলেন, "অভিযোগ দায়ের হওয়ার একমাসের মধ্যে পুলিশ তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করেছিল ৷ উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে আদালতে পেশ করেছিল । সাক্ষীরা যাতে নির্ভয়ে সাক্ষ্যদান করতে পারেন সেটাও সুনিশ্চিত করা হয়েছিল । পুলিশের সক্রিয়তার জন্যই এক বছরের মধ্যে বিচার পেল নির্যাতিতা ।"
সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়ি সাঁকরাইল থানা এলাকায়। গত বছর 24 ডিসেম্বর নাবালিকার মা সাঁকরাইল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে ৷ সেখানেই উল্লেখ করেন, তাঁর 14 বছরের মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী । 2022 সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সে ওই শিক্ষকের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যেত । 20 ডিসেম্বর শিক্ষক ওই নাবালিকার মাকে ফোন করে জানায় তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে । কেশিয়াড়ির একটি নার্সিংহোমে নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দেয় সে । পরে নাবালিকা তার মাকে জানায়, বাড়িতে একলা পেয়ে শিক্ষক নিয়মিত তাকে ধর্ষণ করত। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবির ভিডিয়ো করে রাখত । কাউকে বললে গোপন ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করে দেওয়ার ভয় দেখাত ।