ঝাড়গ্রাম, 22 সেপ্টেম্বর: নাবালিকা অপহরণের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম আদালত। 2017 সাল থেকে ঝাড়গ্রামের এডিজে-1 আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সাত জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর অবশেষে শুক্রবার দেবাশীষ পৈড়াকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত ।
ঝাড়গ্রাম আদালতের আইনজীবী সত্যজিৎ সিনহা বলেন, "নাবালিকা অপহরণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত দেবাশীষ পৈড়াকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস । পাশাপাশি দশ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে । অনাদায় আরও তিন মাস জেলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক"।
ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহা বলেন, "ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিচারাধীন থাকা প্রতিটি মামলাকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে । কয়েক মাসে অনেকগুলি মামলার সাজা ঘোষণা করাতে পেরেছি আমরা । গুরুত্বপূর্ণ মামলা গুলির সাক্ষীদের আমরা বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে কোর্টে এলে ট্রায়ালগুলি সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করছি । এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এই সুফল পাওয়া যাচ্ছে"।
জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া থানার অন্তর্গত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী 15 বছরের এক নাবালিকা মাধ্যমিক পরীক্ষার শেষে 2015 সালের 3 মার্চ বিকেল বেলায় নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সূত্র মারফত জানতে পারেন, বেলিয়াবেড়া থানার অন্তর্গত তেঁতুলিয়া গ্রামের দেবাশিস পৈড়া নামে এক যুবক বিয়ে করার উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক 15 বছরের নাবালিকাকে অপহরণ করেছে ।
পরের দিন নাবালিকার বাবা বেলিয়াবেড়া থানায় দেবাশিস পৈড়া ও তাঁর মা সাবিত্রী পৈড়া এবং তাঁদের প্রতিবেশী স্বপন পৈড়ার নামে লিখিত অভিযোগ জানান। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বেলিয়াবেড়া থানার পুলিশ 363, 366 ও 34 নম্বর ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে । পুলিশ তদন্তে নেমে দু'সপ্তাহ পর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়িতে দেবাশিসের মামার বাড়ি থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে ।
আরও পড়ুন: চোলাই মদ খেয়ে মারা গেলে 2 লাখ, কোভিডে মৃত্যুতে কত? প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
তবে দেবাশিসকে ধরতে পারেনি বেলিয়াবেড়া থানার পুলিশ । পরে দেবাশিস, তাঁর মা এবং অভিযুক্ত প্রতিবেশী ঝাড়গ্রাম আদালতে অগ্রিম জামিনের জন্য আবেদন জানালে জামিন মঞ্জুর করে দেয় আদালত । পাঁচ মাসের মাথায় আদালতে চার্জশিট জমা দেয় বেলিয়াবেড়া থানার পুলিশ।