জামবনী (ঝাড়গ্রাম), 10 মার্চ:এ অন্যরকম দোল ৷ প্রকৃতিকে রাঙানোর উৎসব ৷ চারপাশের পরিবেশে গাছের গুরুত্ব ভুলতে শুরু করেছে মানুষ ৷ সে কথা মনে করিয়ে দিতে এবার অভিনব আয়োজন সেবাভারতী মহাবিদ্যালয়ের ৷ সোমবার জামবনী ব্লকের অন্তর্গত কাপগাড়ির এই কলেজের ভূগোল বিভাগের উদ্যোগে 'রাঙাও এ প্রকৃতি' উৎসব পালন করেন পড়ুয়ারা। কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা প্রাচীন গাছগুলিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে জানানো হল, তারা বছরে পরিবেশ থেকে কতটা কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে (Trees take carbon dioxide and release Oxygen) ৷
এছাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা প্রায় 55 বছরের পুরনো একটি বকুল গাছকে জঙ্গলমহলের প্রাচীন প্রথা মেনে পুজোর মাধ্যমে 'পবিত্র গাছ' হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয় ৷ এই উৎসবের মধ্য দিয়ে ভূগোল বিভাগের নবীন এবং প্রবীণদের মধ্যে পরিচয় হয় ৷ তারপরে জঙ্গলমহলের রীতি মেনে মাটির হাতি, ঘোড়াকে সঙ্গে নিয়ে দু'হাতে ধুনো জ্বালিয়ে ভূগোল বিভাগ থেকে শুরু করে বকুল গাছটি পর্যন্ত পদযাত্রা করে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা । জঙ্গলমহলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রকৃতির আরাধনার নিয়ম মেনে প্রাচীন বকুল গাছকে পুজো করেন তাঁরা ৷ গাছটির গায়ে সাইনবোর্ডে তার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে ৷
প্রতিবছর এই বকুল গাছটি পরিবেশ থেকে 255 কিলো কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে ৷ এর পরিবর্তে পরিবেশকে অক্সিজেন প্রদান করে ৷ ঠিক এইভাবে কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা মেহগিনি, ছাতিম, কাজু, শিশু, সেগুন, বকুল ও আম- মোট সাতটি গাছ বছরে কত পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে, তাও সাইনবোর্ড লাগিয়ে জানানো হয়েছে ৷ একটি প্রাচীর মেহগিনি গাছ বছরে 512 কেজি কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে ৷