পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

কোরোনা আক্রান্তের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ঝাড়গ্রাম হাসপাতাল - Death of corona patient

কোরোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় পথ অবরোধ করে মৃতের পরিবারের সদস্যরা । পালটা চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে ধরনায় বসেন হাসপাতালের সুপারসহ অন্য ডাক্তার, নার্স ও সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা ।

Aa
Aa

By

Published : Sep 19, 2020, 7:39 PM IST

ঝাড়গ্রাম, 19 সেপ্টেম্বর : কোরোনা রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল ঝাড়গ্রাম হাসপাতাল । দফায় দফায় চলল পথ অবরোধ । চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে চিকিৎসকে মারধরের অভিযোগ উঠল রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে । পালটা কাজ বন্ধ করে ধরনায় বসলেন ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের সুপারসহ অন্য ডাক্তার, নার্স ও সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা ।

ঝাড়গ্রামের উত্তরবামদা এলাকার বছর 28-এর এক যুবক বেশ কিছু দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন । শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় 16 সেপ্টেম্বর সকালে তাঁকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন । শারীরিক অবস্থা খারাপ এবং কোরোনার উপসর্গ থাকার কারণে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কোরোনা ওয়ার্ডে সত্যনারায়ণকে ভরতি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । কোরোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার কারণে তাকে ওই দিনই সন্ধেয় ঝাড়গ্রাম কোরোনা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । শুক্রবার রাত 9টার সময় ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।

এরপর রাত থেকেই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে ঝাড়গ্রাম কোরোনা হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবারের লোকজন । আজ সকাল 10টার পর হঠাৎ করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঝাড়গ্রাম হাসপাতাল চত্বর । দফায় দফায় ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া পাঁচ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে মৃতের পরিবারের লোকজন । পথ অবরোধে সামিল হয় CPI(M) ও BJP-র কর্মী সমর্থকরা । পথ অবরোধে উপস্থিত ছিলেন CPI(M)-এর ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক পুলিন বিহারী বাস্কে ।

পুলিনবাবু বলেন, “ওই যুবক যদি কোরোনা পজ়িটিভ হয় তাহলে তাঁর পরিবারের লোকজনকে কোয়ারানটিনে রাখা হল না কেন ? হঠাৎ করে বাড়িতে জানানো হল তিনি মারা গিয়েছেন। কেন তার সঠিক চিকিৎসা হল না ? যতক্ষণ না পর্যন্ত সুবিচার পাওয়া যাচ্ছে ততক্ষন পর্যন্ত পথ অবরোধ চলবে ।” অবশেষে পুলিশের আশ্বাসে পথ অবরোধ তুলে নেয় মৃতের পরিবারের লোকজন ।

অবরোধ উঠে যাওয়ার পর হঠাৎই মৃতের পরিবারের লোকজন ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অর্নাশিস হোতাকে সামনে পেয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ । এই ঘটনার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের চিকিৎসক মহল । হাসপাতালে বারবার চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় । উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয় । হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ছাড়া সব চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সরকার হাসপাতালের বহির্বিভাগের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন । বিকেল 5টার পরেও অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যান ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের চিকিৎসকরা ।

নিগৃহীত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অর্নাশিস হোতা বলেন, '"হঠাৎ করেই আমাকে এক মহিলা মারধর করেন । এই হাসপাতালে বারেবারে এইভাবে চিকিৎসক কেন নিগৃহীত হবেন? এরই প্রতিবাদে আমরা এখানে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছি ।" হাসপাতাল সুপার ইন্দ্রনীল সরকার বলেন, "একজন কোরোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে । এই ঘটনায় আমাদের হাসপাতালে ডাক্তারকে মারধর করা হয়েছে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেছি । ঘটনার পিছনে যাদের হাত রয়েছে তাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাই ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details