মেদিনীপুর, 27 মার্চ : শেষ হল প্রথম দফার ভোট ৷ সন্ধে 6 টা পর্যন্ত ভোট পড়ল প্রায় 80 শতাংশ ৷ পূর্ব মেদিনীপুর এবং জঙ্গলমহলের চার জেলা অর্থাৎ,ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর... সবমিলিয়ে 30 টি বিধানসভা কেন্দ্র ৷ জঙ্গলমহলের ভোট মানেই সেখানে হিংসা, অশান্তি ৷ একটা থমথমে পরিবেশ ৷ আজও তাতে কোনও বদল হল না ৷
একটা সময় ছিল যখন সুশান্ত ঘোষের নামে কাঁপত জঙ্গলমহল ৷ তাঁর ভয়ে নাকি বাঘে গোরুতে এক ঘাটে জল খেত ৷ বাম আমলে বিরোধীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, জঙ্গলমহলে সিপিএম ছাড়া অন্য কোনও দলের পোলিং এজেন্টদের বুথের ধারেকাছে ঘেঁষতে দেওয়া হত না ৷ আর আজ তার পুরো উলটপুরান দেখল জঙ্গলমহল ৷ আজ দিনের শুরু থেকেই দেখা গেল, শালবনির একের পর এক বুথে ছুটে বেরাচ্ছেন তিনি ৷ ভোটের তদারকির তো দূরে থাক...বুথে বুথে পোলিং এজেন্ট বসানোই যেন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছিল সুশান্ত ঘোষের জন্য ৷
সংবাদ মাধ্যমের সামনে বার বার বলতে শোনা গেল, তাঁর এজেন্টদের নাকি বুথে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ এককালে শোনা যেত, জঙ্গলমহলের বুথ জান কবুল আগলে রেখে দিতেন সিপিএমের ক্যাডাররা ৷ আর আজও সেই একই প্রহরা শালবনির বুথে বুথে ৷ তবে পাহাড়াদাররা এবার সবুজ জার্সির ৷
যাঁদের এজেন্ট করা হয়েছিল, শাসক দলের চোখরাঙানিতে আজ তাঁদের বেশিরভাগই আর বেরোননি বাড়ি থেকে ৷ তবে হার না মানা লড়াই চালিয়ে গেলেন সুশান্ত ঘোষও ৷ দিনভর ছুটে বেরালেন ৷ নতুন করে লোক নিয়ে এসে পোলিং এজেন্ট করলেন ৷ নিজে বুথে বুথে গিয়ে তাঁদের বসিয়ে আসলেন ৷ শালবনির শুকনাতোড়ে এক বুথে এজেন্ট বসাতে গিয়ে রীতিমতো বচসায় জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে ৷ পূর্ব-পাড়ায় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী । তাঁকে লক্ষ্য করে ইট মারারও অভিযোগ উঠেছে ।