35 বছরের কারাদণ্ডের সাজা আদালতের ঝাড়গ্রাম, 20 জুলাই:15বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত বাবাকে 35 বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রামের স্পেশাল পকসো আদালত এডিজে 2 । 2018 সালের সাঁকরাইল থানা এলাকার ঘটনায় নির্যাতিতা নাবালিকার মা মারা গিয়েছেন বছর পাঁচেক আগে। বাবার সঙ্গেই থাকত সে। ওইবছর জুলাই মাসের 17 তারিখ মেয়েটির কাছে দুপুরের খাবার চায় ৷ সেই মতো মেয়েটি বাবাকে ভাত দেয়। তারপরেই ওই অপরাধী বাবা তার মেয়েকে ধর্ষণ করে।
মেয়েটি কোনওক্রমে বাবার কাছ থেকে পালিয়ে বিষয়টি তার জেঠিমাকে বলে। পাশাপাশি কাকিমা এবং প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পারে। তারপরেই মেয়েটির বাবাকে বেধড়ক মারধর করেন গ্রামবাসীরা। নাবালিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ভরতি করা হয় স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে। হাসপাতালে বেশ কিছুদিন ভরতি ছিল মেয়েটি। গ্রামবাসীরা মারধর করায় এদিকে আহত হয়ে পড়েছিল ওই নাবালিকার বাবা ৷ তাকেও ওই গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়৷ পরে স্থানান্তর করা হয় তৎকালীন ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে । ঘটনার দিনই মেয়েটির বাবাকে গ্রেফতার করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ।
2018 সালের 19 জুলাই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হলে অভিযুক্ত বাবাকে পেশ করা হয় ঝাড়গ্রামের স্পেশাল পকসো আদালত এডিজে 2-তে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশ 376 (2) ধর্ষণ এবং 6 নম্বর পকসো ধারায় মামলার রুজু করে। এক মাসের মাথায় 18 অগস্ট আদালতে চার্জশিট জমা দেয় সাঁকরাইল থানার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার প্রশান্ত কুমার সিট। বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে 14 জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর গতকাল অর্থাৎ বুধবার নাবালিকার বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
সরকারি আইনজীবী জয়ন্ত রায় জানান, 14 জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর গতকাল অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। বিচারক বলেন, "এটি বিরল ও জঘন্যতম ঘটনা। এরকম ঘটনা ঘটলে কোনও ছেলেমেয়ে তার বাবাকে বিশ্বাস করতে পারবে না। আমার মনে হয় এক্ষেত্রে এই আইনে সর্বোচ্চ কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি ঘোষণা করা হয়। 35 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও 5 হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড এবং 3 লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷"
আরও পড়ুন:পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে গণধর্ষণ করে খুন, 2 অভিযুক্তের ফাঁসি