জলপাইগুড়ি, 28 জুলাই: মামার টাকা পয়সা হাতানোর জন্যই বন্ধু ও বান্ধবীদের ভিন রাজ্য থেকে নিয়ে এসে মামাকে খুন করিয়েছে ভাগ্নে । ধূপগুড়ি হত্যাকাণ্ডে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে ৷ এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত ভাগ্নে ও তাঁর দুই বান্ধবী-সহ ছয় বন্ধু । খুন করার পর পালাতে গিয়ে হিন্দিতে কথা বলাই কাল হয় । বহিরাগত হওয়ার ফলে স্থানীয়রা ও পুলিশের কর্মীরা হাতেনাতে ধরে ফেলে চার বন্ধু ও দুই বান্ধবীকে ।
হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার 6 বন্ধু-বান্ধবী: ধূপগুড়ির সাকোয়াঝোড়ার আংরাভাষার হত্যাকাণ্ডে ছয় বন্ধু-বান্ধবীকে গ্রেফতার করে চক্ষু চড়ক গাছ পুলিশের । জানা গিয়েছে, মামার সম্পত্তি হাতানোর জন্যই তাঁকে খুন করে ভাগ্নে । গ্রেফতার হয়েছে সেই ভাগ্নে-সহ পাঁচ বন্ধু ও বান্ধবী । দুই মহিলা কীভাবে এই খুনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ল, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয় । খুনের পরেই এ দিক ও দিক ছিটকে যান ছয় জন । এরপর তাঁরা বৃষ্টির রাতে পালাতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেন । এ দিকে, খুনিদের খুঁজতে এলাকার বাসিন্দা ও পুলিশ চলে এলে তাঁরা আর পালাতে পারেননি ৷
হিন্দিতে কথা বলাই কাল হল: আহত মহিলাকে ধূপগুড়ি হাসপাতালে দিয়ে ফেরার সময় স্থানীয়রা দেখেন, বাইরে দুই-চারজন এক জায়গায় রয়েছেন । তাঁদের ধরে নাম ও ঠিকানা জিজ্ঞাসা করাতেই তাঁরা হিন্দিতে কথা বলেন ৷ এতেই সন্দেহ দানা বাঁধে এলাকাবাসীর । পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ একে একে ছয়জনকে ধরে ফেলে ।ধৃতরা হল আফতাব হোসেন, সুমিত চৌধুরী, কীর্তি শাহ, শিখা মিশ্র, অভিষেক মাসি, আলতাফ আলম, ইয়াসাফ মাসি ।
পুলিশ সুপার যা জানালেন: জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত জানান, মৃতের নাম মেহতাব হোসেন (38) ৷ গুরুতর আহত মেহতাবের স্ত্রী মৌমিতা দাস (33)। গতকাল ইনস্যুরেন্স এজেন্ট মেহতাব হোসেনের বাড়িতে জানলা ভেঙে ছয় জন চড়াও হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার আঘাত করে তাঁকে খুন করে । তাঁর স্ত্রীও আহত হন । তাঁদের দুই সন্তান পালিয়ে বাঁচে । পুলিশ খবর পেয়েই তদন্তে নেমে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় একে একে ছয়কে গ্রেফতার করে । ছয় জন গ্রেফতার হওয়ার পর দেখা যায়, খুনে অভিযুক্ত আফতাব হোসেন সম্পর্কে মেহতাবের ভাগ্নে । তাঁর সঙ্গে বিহারের কোনও এক জমি নিয়ে মামার বিবাদ চলছিল ।