জলপাইগুড়ি, 23 সেপ্টেম্বর : রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন জলপাইগুড়ি । সিকিমে ক্রমাগত বৃষ্টির জেরে জল বাড়ল তিস্তা নদীতেও । তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি করেছে সেচ দপ্তর । দোমহনী থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে । পাহাড়ে ব্যাপক বৃষ্টির ফলে গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয় । ফলে তিস্তা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় জল ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে ।
পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির জেরে জল বেড়েছে তিস্তা নদীতে । তাই গাজোলডোবা ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় মালবাজার মহকুমা ও ময়নাগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকায় জল ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
সেচ দপ্তর সুত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ির দোমহনীতে 192 মিলিমিটার, আলিপুরদুয়ারে 106 মিলিমিটার, কুমারগ্রামে 251 মিলিমিটার, বারোবিশাতে 181.6 মিলিমিটার, তুফানগঞ্জে 235.60 মিলিমিটার, জলপাইগুড়িতে 17.80 মিলিমিটার, আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটায় 128.6 মিলিমিটার, মাথাভাঙায় 166.80 মিলিমিটার, হাসিমারাতে 99.2 মিলিমিটার, দার্জিলিংয়ে 104.2 মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে ।
তিস্তা নদীর জল গাজোলডোবা ব্যারেজ থেকে ছাড়ার পর ময়নাগুড়ি ব্লক ও মালবাজার মহকুমার চাঁপাডাঙার নিচু এলাকায় জল ঢুকে ঢুকতে শুরু করেছে । নদীর বাঁধ ও নদী সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছেন সেচ দপ্তরের কর্মীরা । গতকাল থেকে জলপাইগুড়ি শহরে 177 মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সেচ দপ্তর সূত্রে । জলপাইগুড়ি শহরের মহামায়া পাড়া, পরেশমিত্র কলোনি, কংগ্রেস পাড়া, পাণ্ডাপাড়া, উত্তর রায়কতপাড়া সহ একাধিক ওয়ার্ডে জল জমে রয়েছে । এদিকে গত 24 ঘন্টায় জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও শিলিগুড়িতে ভালো বৃষ্টি হয়েছে । সেচ দপ্তরের SDO শান্তনু ধর বলেন, "তিস্তার জল বাড়ায় অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছে । পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে ।"