জলপাইগুড়ি, 3 এপ্রিল:দম্পত্তিকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পরই যুব সভাপতি ও জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে সাবধানী অবস্থান নিল শাসকদল ৷ দম্পত্তির মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক বিষয় নয় । এটা সৈকতের ব্যক্তিগত ব্যপার । এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই । এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ ।
অন্যদিকে, দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী ৷ পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের তদন্তে আস্থা নেই তাদের ৷ তাই বিচার বিভাগের নজরদারিতে তদন্তের দাবি তোলা হচ্ছে বলে জানানো হয় বিজেপির তরফে । আগামিতে বিজেপি সিবিআই তদন্ত দাবি করবেন বলেও জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন । যদিও এই ঘটনাকে বিজেপির চক্রান্ত বলে পালটা দাবি করেছেন সৈকত চট্টোপাধ্যায় ৷ বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর দাবি, পুলিশ এই ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা চালাবে । সেই কারণে আদালতের মাধ্যমে বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং সিবিআই তদন্তের দাবি জানাবেন তাঁরা ।
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, "দু'জনের মৃত্যু হয়েছে এটা দুর্ভাগ্যজনক । এটা রাজনৈতিক বিষয় নয় । এটা সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত ব্যপার । এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই । তিনি আইনজীবী ৷ কার সঙ্গে তিনি কী কথা বলেছেন তাতে দলের কিছু নেই । তবে নিরপেক্ষ তদন্ত হোক । এখানে রাজনীতি না ঢোকানোই ভালো । পুলিশ তদন্ত করুক । যাদের নামে অভিযোগ হয়েছে তাদের ব্যপার । এখানে রাজনীতির জায়গা নেই । এটা নিয়ে যদি কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করে তাহলে ভুল হবে ।"
আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযুক্ত সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত করা হচ্ছে । সামনে পঞ্চায়েত ভোট । তিনি জেলে থাকলে সুবিধা হবে বিজেপির । তাই বিজেপির বিধায়ক তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করছেন । সুইসাইড নোটটাও মিথ্যে বলেও তাঁর দাবি । তিনি বলেন, "সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সুইসাইড নোট দেখা যাচ্ছে তাঁর সঙ্গে অপর্ণা ভট্টাচার্যের হাতের লেখার মিল নেই । আমি চ্যালেঞ্জ করছি হ্যান্ডরাইটিং এক্সপার্ট দিয়ে তদন্ত হোক ।"