পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Jalpaiguri Body Carrying Case: দেহ কাঁধে বয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের 3 নিরাপত্তারক্ষীকে শোকজ

জলপাইগুড়ির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে দেহ কাঁধে বয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় (Jalpaiguri Body Carrying Case) তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা পড়েছে ৷ সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে হাসপাতালের তিনজন নিরাপত্তাকর্মীকে শোকজ করা হচ্ছে বলে জানালেন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি ডাঃ কল্যাণ খাঁ ৷

Jalpaiguri Body Carrying Case ETV BHARAT
Jalpaiguri Body Carrying Case

By

Published : Jan 11, 2023, 5:18 PM IST

Updated : Jan 11, 2023, 7:01 PM IST

জলপাইগুড়ির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের 3 নিরাপত্তারক্ষীকে শোকজ

জলপাইগুড়ি, 11 জানুয়ারি: গত 5 জানুয়ারি কাঁধে দেহ বয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় (Jalpaiguri Body Carrying Case) জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের অন্তর্গত সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের কর্তব্যে গাফিলতি ছিল ৷ তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এমনি তথ্য উঠে এসেছে ৷ সেই রিপোর্ট আসার পরই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের তিনজন নিরাপত্তাকর্মীকে শোকজ করা হয়েছে (Three Jalpaiguri Super Specialty Hospital Security Guards Show Caused on Body Carrying Incident) ৷ আজ এমনটাই জানিয়েছেন, জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি ৷

এদিন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি ডাঃ কল্যাণ খাঁ বলেন, "পাঁচজনের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা পড়েছে আমার কাছে ৷ আমরা তদন্ত কমিটির কাছে সুপারিশও চেয়েছিলাম ৷ সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সব দিক খতিয়ে দেখেছি ৷ তাতে করে আমরা দেখেছি ট্রলি করে দেহ নামানো হয়েছিল ৷ কিন্তু, সে সময় যাঁরা নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন, তাঁদের ভুমিকা কী ছিল তা খতিয়ে দেখা হয়েছে ৷ দেহ বের করার সময় যাঁরা নিরাপত্তায় ছিলেন, তাঁদের একটা দায়িত্ব ছিল ৷ তাঁরা যদি একটু সচেতন হতেন, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না ৷"

হাসপাতালের এমএসভিপি সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনার জন্য ৷ তিনি বলেন, "সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাই, তারা আমাদের সামনে এই বিষয়টি তুলে ধরেছে ৷ ভবিষ্যতে যাতে আর এমন ঘটনা না হয়, তার জন্য আমি সতর্ক থাকব ৷" তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এবার থেকে দেহ নিয়ে যেতে মৃতের পরিবারকে সবরকম সহায়তা করা হবে ৷ তবে, এই তদন্তের পুরোটাই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভিতরের ঘটনা নিয়ে হয়েছে বলে জানিয়েছেন এমএসভিপি ৷ তাই বেসরকারি সংস্থার অ্যাম্বুল্যান্সের চালক ও মৃতের পরিবারের সঙ্গে তদন্ত কমিটি কথা বলেনি ৷

তবে এই তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও একাধিক প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ৷ হাসপাতালের তরফে ঘটনায় তদন্ত করা হলেও মৃতের পরিবারের সঙ্গে কেন কথা বলা হয়নি ? কারণ, দেহ হাসপাতালের ভিতর থেকেই কাঁধে করে নিয়ে বেরিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা ৷ তাই তাঁদের বক্তব্যও এখানে যথেষ্ঠ গুরুত্ব রাখে ৷ যা নিয়ে এমএসভিপি’র দাবি, তারা অ্যাম্বুলেন্স সংস্থার সঙ্গেও কথা বলেননি ৷ সেটা পুরোপুরি প্রশাসন ও আরটিও’র বিষয় ৷ কিন্তু, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কেন কথা বলেননি, এই প্রসঙ্গটি তিনি পুরোপুরি এড়িয়ে গিয়েছেন ৷

আরও পড়ুন:'কারও প্ররোচনায় মৃতদেহ কাঁধে তুলে নিইনি', বললেল মৃতার স্বামী

এমনকী এমএসভিপি দাবি করেছেন, তদন্ত কমিটির তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে মৃতের পরিবার ওয়ার্ড মাস্টার, ফেসিলিটি ম্যানেজার বা রোগী সহায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি ৷ কিন্তু, ঘটনাটি যেদিন প্রকাশ্যে আসে, সেদিন মৃতের পরিবারের তরফে বলা হয়েছিল, ওয়ার্ড মাস্টারের কাছে তাঁরা গিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, ওই আধিকারিক নাকি জানিয়েছিলেন, দেহ বাড়িতে পাঠানোর কোনও ব্যবস্থা তাঁদের নেই ৷ স্বাভাবিকভাবেই এক তরফা হাসপাতালের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা না বলায়, তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে ৷

Last Updated : Jan 11, 2023, 7:01 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details