জলপাইগুড়ি, 25 ফেব্রুয়ারি : হলদিবাড়ি থেকে তিনটি বগি আসত নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ৷ এই তিনটি বগি দার্জিলিং মেলের সাথে জুড়ত ৷ তারপর তা রওনা দিত শিয়ালদায় ৷ দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই চলছিল দার্জিলিং মেল ৷ তবে 2019 সালে শিয়ালদা ডিভিশনের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, 2020 সালের 10 এপ্রিলের পর থেকে হলদি বাড়ি থেকে আসা তিনটি বগি চালানো হবে না ৷ এই ঘোষণার পর থেকেই ক্ষোভ দেখা দেয় হলদিবাড়ি-জলপাইগুড়ির বাসিন্দাদের মধ্যে ৷ তবে শিয়ালদা ডিভিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তি কার্যকার হবে না বলে জানিয়ে দিলেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিভিশনার ম্যানেজার আর কে ভর্মা ৷ ৷
হলদিবাড়ি থেকে দার্জিলিং মেলে যুক্ত হওয়া বগি তোলা হচ্ছে না : রেল
হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি হয়ে শিয়ালদাগামী দার্জিলিং মেলে যুক্ত হওয়া বগিগুলি তুলে নেওয়া হচ্ছে না । আজ জানালেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিভিশনার ম্যানেজার আর কে ভর্মা ৷
আজ আর কে ভর্মা জানান, হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি হয়ে শিয়ালদাগামী দার্জিলিং মেলে যুক্ত হওয়া বগিগুলি তুলে নেওয়া হচ্ছে না । আমরা দার্জিলিং মেলের যে নতুন অত্যাধুনিক বগি সংযুক্ত হবে তার সাঙ্গে হলদিবাড়ির বগিটিকে জুড়ে চালানোর ব্যবস্থা করা হবে । যেভাবে দার্জিলিং মেল চলছে সেই ভাবেই চলবে ৷ দার্জিলিং মেল উঠছে না বলে সাফ জানান DRM। রেল দপ্তরের এমন ঘোষণায় খুশি হলদিবাড়ি ও জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা ৷ প্রসঙ্গত, শিয়ালদা ডিভিশনের ঘোষণার পর বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, জলপাইগুড়ি হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনসহ অনেকেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন ৷ পেন ডাইন করে জলপাইগুড়ি শহরে মিছিলও করেন আইনজীবীদের একাংশ ।
প্রসঙ্গত, দার্জিলিং মেল স্বাধীনতার আগে থেকেই জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন হয়ে চিলাহাটি হয়ে শিয়ালদা যেত । 1965 সালের পর চিলাহাটি রুট বন্ধ হয়ে যায় । তারপর হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন হয়ে দুটি বগি NGP স্টেশনে এসে যুক্ত হত দার্জিলিং মেলের সঙ্গে ৷ সেখান থেকে শিয়ালদা যেত । কিন্তু সেই দুটি কানেকটিং বগি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছিল বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ৷ আজ জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, "দার্জিলিং মেল উঠছে না । রেল জানিয়ে দিয়েছে । আমিও এই বিষয়টি নিয়ে রেলের জেনেরাল ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম ।"