জলপাইগুড়ি, 6 অগস্ট: করোনার সংক্রমণের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল ৷ মেরামতির জন্য অর্থও বরাদ্দ করেছিল স্কুল শিক্ষা দফতর ৷ কিন্তু এখনও সংস্কার হয়নি জলপাইগুড়ি বোলতলা হরেকৃষ্ণ কোঙার কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (Students Attend Classes Under Open Sky Due to Roofless Class-room in Jalpaguri) ৷ ঝড়ে স্কুলের চাল, বারান্দা উড়ে গিয়েছে বহুদিন ৷ ক্লাস চলাকালীন বৃষ্টি এলে জল ঢুকছে ক্লাসরুমে ৷ আর তার মধ্যেই ক্লাস করতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের ৷ এমনকি শৌচালয় ব্যবহার করতে শিক্ষিকাদের যেতে হচ্ছে স্কুলের পাশে একটি বাড়িতে ৷ এমনই বেহাল দশা বোলতলা হরেকৃষ্ণ কোঙার কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৷ এই মুহূর্তে স্কুলটির কোনও অফিস ঘরও নেই ৷ ফলে স্কুলের বারান্দায় বসেই কাজ করতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদের ৷
2019 অগস্ট মাসে ঝড়ে প্রথমবার স্কুলের বারান্দার চাল উড়ে গিয়েছিল স্কুলটির ৷ এরপর সংশ্লিষ্ট দফতরে তা সারাইয়ের আবেদন করা হয় ৷ অভিযোগ, কেউই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি ৷ সেই ভাবেই চলতে থাকে স্কুল ৷ এরপর করোনা সংক্রমণের জেরে প্রায় দেড় বছরের জন্য বন্ধ হয়ে যায় স্কুল । 2020 জুলাই মাসে ঝড়ে নতুন করে তিনটি ক্লাসরুমের চাল উড়ে যায় ৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্কুলের বারান্দা, একইসঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷
এই পরিস্থিতিতে স্কুল শুরু হলে, বিদ্যুৎ সংযোগ না-থাকার কারণে পড়ুয়াদের গরমে ক্লাস করতে কষ্ট হচ্ছে ৷ অভিযোগ, মাঝে-মাঝে গাছতলায় পড়ুয়াদের নিয়ে ক্লাস করাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ৷ স্কুলের ছ’টি ক্লাসরুমের মধ্যে একটিতে ঝড়ে উড়ে যাওয়া স্কুলের টিন, কাঠ জমা করে রাখা হয়েছে ৷ আর তার মধ্যে তিনটি ঘরের চাল নেই ৷ বাকি দু’টি ক্লাসরুমে পাঁচটি শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনা করাতে হচ্ছে ৷ একাধিকবার স্কুল শিক্ষা দফতর ও বিডিও অফিসের কড়া নেড়েও ক্লাসরুমগুলি মেরামতির ব্যবস্থা করতে না পারায়, আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিনারায়ন সিং ৷
স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিনারায়ন সিং বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন থেকে স্কুল ঘরের চাল নেই ৷ বাথরুমের দরজা নেই ৷ ফলে মহিলা শিক্ষিকাদের শৌচালয়ে যেতে হলে, স্কুলের পাশে একটি বাড়িতে যান তাঁরা ৷ আমাদের কোনও অফিস ঘর নেই ৷’’