জলপাইগুড়ি, 22 অক্টোবর : মাধ্যমিক ছাত্রের মৃত্যুতে সামনে এল বিনা লাইসেন্সে চলা রিহ্যাব সেন্টারের জালিয়াতির ঘটনা ৷ আর তার পরেই তৎপর হল প্রশাসন ৷ জলপাইগুড়ির ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ হিমাদ্রী রায় নামে এক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, দশম শ্রেণির এক পড়ুয়া ওই রিহ্যাব সেন্টারে ছিল ৷ তার মোবাইলের আশক্তি দূর করতে ওই রিহ্যাবে পাঠিয়েছিল পরিবার ৷ কিন্তু, ওই পড়ুয়ার মা-বাবা সেখানে ফোন করে ছেলের খোঁজ করলে জানতে পারেন, তাঁদের ছেলে হাসপাতালে ভর্তি ৷ তাঁরা হাসপাতালে গেলে ছেলেকে মৃত অবস্থায় দেখেন ৷ তার পরেই ওই রিহ্যাব সেন্টারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে মৃত পড়ুয়ার বাবা ৷
পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে ‘পরিবর্তন’ নামে ওই হোমের কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই ৷ দীর্ঘদিন ধরে সরকারের চোখে ফাঁকি দিয়ে ওই বেআইনি রিহ্যাব সেন্টার চালাচ্ছিল সুশান্ত মণ্ডল, তার ছেলে সৈকত মণ্ডল এবং হিমাদ্রী রায় ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ির বাসিন্দা বিভাস গুহ তাঁর ছেলের মোবাইল ফোনের আশক্তি দূর করতে ওই রিহ্যাব সেন্টারে তাঁকে পাঠিয়েছিলেন ৷ গত কয়েকদিন ধরে হোম কর্তৃপক্ষকে ছেলের সঙ্গে দেখা করার কথা বললে, নানাভাবে টালবাহানা করছিল তারা ৷ এর পর গতকাল দুপুরে সেখানে ফোন করলে, রিহ্যাব সেন্টার থেকে জানান হয়, তাঁদের ছেলে হাসপাতালে ভর্তি ৷