জলপাইগুড়ি, 6 মার্চ: হোলি উপলক্ষ্যে আদিবাসীদের শিকার উৎসব হয় ৷ সেই সুযোগে বন্যপ্রাণীর চোরা শিকার করতে গরুমারার অভয়ারণ্যে ঢুকে পড়ে চোরাশিকারিরা ৷ এই আশঙ্কা থেকে জঙ্গলে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে (Strict Vigilance in Gorumara National Park) । অ্যান্টি পোচিং স্কোয়াড গড়ে পেট্রোলিং করা হচ্ছে । চোরা শিকারীদের হাত থেকে বন্যপ্রাণীকে রক্ষ করতে জোরদার নজরদারি চালাচ্ছে বনবিভাগ, এসএসবি ও পুলিশ । হোলির দু’দিন গরুমারা জাতীয় উদ্যান, নেওড়াভ্যালী জাতীয় উদ্যান, চাপড়ামারি অভয়ারণ্য-সহ সব জঙ্গলেই পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।
হোলি উৎসবে বেশকিছু জনজাতি শিকার করে থাকে । হোলির সময় জঙ্গলে প্রবেশ করে কেউ যাতে বন্যপ্রাণীর শিকার করতে না-যায় সেই উদ্দেশ্যে বাসিন্দাদের সচেতন করা হয়েছে বনদফতর ও পরিবেশপ্রেমীদের পক্ষ থেকে । চা-বাগান এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে আদিবাসীদের এলাকায় গিয়ে আদিবাসীরা যাতে শিকার উৎসবে না-মাতেন তাই তাদের সচেতন করা হচ্ছে । আদিবাসীদের নাম করে বহিরাগতরা এই সুযোগ পাচারের কাজ না-করতে পারে তাও দেখা হচ্ছে । গত বছর জঙ্গলে ঢুকে সম্বর হরিণ মেরে মাংস খাবার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল । সেই খবর প্রচারে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় ৷