জলপাইগুড়ি, 17 জুলাই : উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত শৈব তীর্থ জল্পেশ মন্দিরকে ঢেলে সাজাচ্ছে রাজ্য সরকার ৷ মন্দির সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজে বরাদ্দ করা হয়েছে 5 কোটি টাকা ৷ জল্পেশ মন্দির কমিটির সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেব জানিয়েছেন, এই টাকা ব্যয় করে শুধু যে মন্দির চত্বরকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হবে তাই নয়, একইসঙ্গে মন্দিরে ঢোকা-বেরোনোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হবে ৷ গিরীন্দ্রনাথ জানান, পুণ্যার্থীরা এবার সরাসরি মন্দিরের ভিতরেই ঢোকার সুযোগ পাবেন ৷
আরও পড়ুন :সংস্কারের অভাবে নষ্ট হচ্ছে বরাকরের 600 বছরের পুরানো মন্দির
সূত্রের খবর, শতাব্দী প্রাচীন জল্পেশ মন্দিরের জন্য উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেছে রাজ্য সরকার ৷ এই সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড এবার থেকে এই বোর্ডের মাধ্যমেই সারা হবে ৷ গিরীন্দ্রনাথ জানান, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই জলপাইগুড়ি এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ৷ জল্পেশ মন্দিরের উন্নয়নের জন্য কী কী করা প্রয়োজন, তা জানার জন্য অরূপ বিশ্বাসকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ পাঠিয়েছিলেন তিনি ৷
এরপরই মন্দির নিয়ে তাঁদের কী কী পরিকল্পনা রয়েছে এবং মন্দিরের উন্নয়নের জন্য কী কী করা প্রয়োজন, তার জন্য কত টাকা খরচ হবে, সেসব লিখিত আকারে রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দেয় মন্দির কমিটি ৷ এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই 5 কোটি টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার ৷ গঠন করা হয় উন্নয়ন বোর্ড ৷ এই বোর্ডে জেলাশাসক, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়রের পাশাপাশি জল্পেশ ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক নিজেও রয়েছেন ৷ গিরীন্দ্রনাথ জানিয়েছেন, এই খাতে বরাদ্দ টাকা জেলাশাসকের মাধ্যমে খরচ করা হবে ৷
আরও পড়ুন :গত হয়েছে ম্যাটিনি-ইভনিং-নাইট, মনকেমনের সাক্ষী রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য চণ্ডীদাস চিত্র মন্দির
প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে জল্পেশে শ্রাবণী মেলার আসর বসে ৷ তাতে ঢল নামে দর্শনার্থীদের ৷ রোদ, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই মেলায় সামিল হন তাঁরা ৷ পুজো দেন জল্পেশ মন্দিরে ৷ কিন্তু এভাবে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করা কঠিন ৷ তাই দর্শনার্থীদের লাইনে দাঁড়ানোর জন্য ছাউনির ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ যাতে রোদ, বৃষ্টিতে তাঁদের কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই বন্দোবস্ত ৷ গিরীন্দ্রনাথ জানিয়েছেন, এই শেডের মধ্যে দিয়ে লাইন করে হেঁটেই সরাসরি মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা ৷ সংস্কার করা হবে মন্দিরের মূল ফটকটিরও ৷