জলপাইগুড়ি, 21 ডিসেম্বর: নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। অভিযুক্তকে দশ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের বিচারক ৷ অভিযুক্ত চা শ্রমিককে দশ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ বিচারকের ৷
আইনজীবী দেবাশিষ দত্ত জানান, নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে এই মামলায় দশ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছিল। উভয় পক্ষের সওয়াল জবাব হওয়ার পর বিচারক অভিযুক্তকে দোষী সাবাস্ত্য করেন ৷ এরপর দশ বছরের কারাদণ্ড ও 20 হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ বিচারকের। অনাদায়ে ছয় মাস অতিরিক্ত কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের বিচারক। অন্যদিকে, সরকারকে নির্যাতিতা নাবালিকাকে দু'লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি পক্ষের আইনজীবী আরও জানান, 2016 সালে নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ সামনে আসে ৷ জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের চা বাগানের এক শ্রমিকের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে ৷ অভিযোগ উঠেছিল, ওই বছর 10 সেপ্টেম্বর প্রতিবেশী যুবকটি নাবালিকার বাড়িতে যায়। সেই সময় নাবালিকার বাড়িতে কেউ ছিলেন না। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নাবালিকাকে কোনও কিছুর লোভ দেখিয়ে বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায় আসামী। সেখানেই নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
এরপর নির্যাতিতা নাবালিকা বাড়িতে বিষয়টি জানালে সঙ্গে সঙ্গে, তার বাবা-মা জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ সেই ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে তার পরেরদিন গ্রেফতার করে। জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে থাকাকালীনই যুবকের বিচার চলে। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি আদালতের স্পেশাল জজ ইন্দ্রবর ত্রিপাঠি পকসো মামলায়, যুবকের দশ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বলে জানান দেবাশিষ দত্ত।