জলপাইগুড়ি, 31 জানুয়ারি: জলপাইগুড়ি বিজ্ঞান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ড. রাজা রাউতকে বঙ্গরত্ন সম্মান দিচ্ছে রাজ্য সরকার৷ জলাভূমি সংরক্ষণ, বন ও বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের কাজ করে চলেছেন তিনি। কখনও চাকরি করেছেন ডাক বিভাগে৷ আবার কখনও স্কুল বা কলেজে অধ্য়াপনা করেছেন৷ এরই মাঝে বনবিভাগের এডিএফও হয়ছিলেন। কিন্তু কোন জায়গাতেই স্থির হতে পারেননি রাজা৷ শেষমেশ অবশ্য শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি৷
জলপাইগুড়ি জেলার বিজ্ঞান আন্দোলনের অন্যতম নাম রাজা রাউত। জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডাপাড়ার বাসিন্দা রাজা রাউত কখনও থেমে থাকেননি। কোথাও পুকুর ভরাট হলে তার প্রতিবাদ করা, কখনও আবার বন্যপ্রাণ বাঁচানোর লড়াই। জলপাইগুড়ি সায়েন্স এন্ড নেচার ক্লাবের সম্পাদক প্রতিবছর জেলার ছেলেমেয়েদের শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে নিয়ে গিয়ে তাদের বিজ্ঞান চেতনা উন্মেষের চেষ্টা করে চলেছেন। রাজ্য সরকার তাঁর সেই প্রয়াসের স্বীকৃতি দেওয়ায় খুশি রাজা রাউত৷
২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পোস্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছেন রাজা। ২০০৯-২০১০ সালে রাজ্যের অনানারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন ছিলেন তিনি৷। একটা সময় ভোটপট্টী স্কুলে শিক্ষকতা করতে করতেই চলে গিয়েছিলেন কলেজে অধ্যাপনা করতে। ২০১৭-২০১৯ সাল পর্যন্ত বীরভুমের লাভপুর শম্ভুনাথ কলেজের জীববিদ্যা বিভাগের প্রধান হিসাবেও দায়িত্ব সামলেছেন রাজা৷ পরে ফের ফিরেছেন নিজের জেলায়৷ ময়নাগুড়ি ভোটপট্টি হনুমান বক্স লোহিয়া উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকতা করেছেন৷
আরও পড়ুন:"বড্ড দেরি হয়ে গেছে", নেতাজিকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি প্রসঙ্গে মন্তব্য কন্যার
জলপাইগুড়ি জেলার মানুষকে কুসংস্কারের জাল থেকে মুক্ত করতেও দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন রাজা৷ পাশাপাশি বন ও বন্যপ্রাণ রক্ষা-সহ জলাভুমি সংরক্ষণেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য৷ উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চেই মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে বঙ্গরত্ন সম্মান গ্রহণ করবেন রাজা৷