জলপাইগুড়ি, 28 জুলাই: অনুষ্ঠান না-করেও শিল্পীদের অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে টাকা । আর পরের দিনই সেই টাকার ভাগ নিতে পৌঁছে যাচ্ছেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের কর্মীরা । শুধু তাই নয়, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের কর্মীদের টাকা দিতে হবে বলেই শিল্পীদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ । শিল্পীদের অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া হচ্ছে টাকা । এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়িতে । তদন্তে নামলেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক স্বয়ং ।
বৃহস্পতিবার জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের আধিকারিককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান রাজ্য সরকারের পরিচয় পত্রধারী জেলার বিভিন্ন এলাকার লোক সংগীত শিল্পীরা(Protests around Information Culture Department official in jalpaiguri) । জেলার লোকশিল্পী কমল হাজরা ও ভবেন হাজরা জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিককে লিখিতভাবে জানান তাঁদের অ্যাকাউন্টে 22 হাজার টাকা ঢোকে ৷ তার মধ্যে 10 হাজার টাকা তুলে দিতে বলা হয় অফিসের কর্মীদের দেওয়ার জন্য ।
এক একজন শিল্পী দেড় বছর ধরে সরকারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেও সরকার নির্ধারিত টাকা পাচ্ছেন না । আবার অনেকেই অনুষ্ঠান না-করেই টাকা পেয়ে যাচ্ছেন । শুধু তাই নয়, একটি অনুষ্ঠান করলে 1 হাজার টাকা দেওয়া হয় প্রত্যেককে ৷ গড়ে কেউ 7-8টা অনুষ্ঠান পেয়ে থাকেন ৷ অর্থাৎ, সেক্ষেত্রে 7-8 হাজার টাকা পাওয়ার কথা ৷ কিন্তু একজনের অ্যাকাউন্টেই 67 হাজার, 72 হাজার করে টাকা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর থেকে পাঠানো হচ্ছে । সেই শিল্পীর অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের কর্মীরা টাকা তুলে আনছেন বলে অভিযোগ ৷ তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের নাইট গার্ড, ডেটা অপারেটর-সহ তিনজনের নাম উঠে এসেছে ।