জলপাইগুড়ি, 24 মে : সহায়, সম্বলহীন হয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে ও দুই খুদে নাতি, নাতনিকে নিয়ে হাসপাতালে দিন কাটাচ্ছেন বৃদ্ধা ৷ অন্য কোথাও আশ্রয় না পেয়ে মা-বোনের সংসারে এসে জুটেছেন বৃদ্ধার অন্য মেয়েও ৷ এদিকে, লকডাউনে ভিক্ষেও জুটছে না ৷ 10 টাকার গুঁড়ো দুধ কিনে, সেটাই জল দিয়ে গুলে খাওয়াচ্ছেন একরত্তি দু’টো বাচ্চাকে ৷ কোনও দিন সেটুকুও জুটছে না ৷
চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে ভিটেমাটি বিক্রি করে দিয়েছিলেন জ্যোৎস্না অধিকারী ৷ তারপর শিলিগুড়িতে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন ৷ জামাই টোটো চালিয়ে রোজগার করতেন ৷ সেই টাকা দিয়েই সংসার চলত ৷ জ্য়োৎস্নার মেয়ে মিনা শারীরিক প্রতিবন্ধী ৷ হাঁটাচলার ক্ষমতা নেই ৷ চার মাস আগে মিনার স্বামী মারা যান ৷ তারপর আর বাড়ি ভাড়া দিতে পারছিলেন না জ্যোৎস্না ৷ বাড়ির মালিক তাই তাঁদের বের করে দেন বাড়ি থেকে ৷ শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি ফিরে আসেন জ্যোৎস্না ও তাঁর পরিবার ৷ আশ্রয় নেন জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল চত্বরে, খোলা আকাশের নীচে ৷
জোৎস্না অধিকারী জানান, তাঁর মেয়ে মিনার সঙ্গে 10 বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ফালাকাটার মেঝবিলের বাসিন্দা রঞ্জিত বর্মনের ৷ বিয়ের পর সব ঠিকঠাকই চলছিল ৷ কিন্তু জ্যোৎস্না জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার পর তিস্তার চরের বাড়ি বিক্রি করে দিয়ে চলে যান শিলিগুড়িতে ৷ শিলিগুড়ির সুকান্তগরে ভাড়া বাড়িতেই থাকতেন মেয়ে আর জামাইকে সঙ্গে নিয়ে ৷