হিমঘরের ছাদ ভেঙে ধসে পড়ে একাংশ জলপাইগুড়ি, 13 এপ্রিল:হিমঘরের একাংশ ভেঙে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ায় আগেই এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল ৷ এবার হিমঘর থেকে লিক হওয়া অ্যামোনিয়া গ্যাসের গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়েন পাঁচ গ্রামবাসী। ঘটনায় এক শিশু-সহ মোট পাঁচজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে খবর ৷ বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়িতে হিমঘরের ছাদ ভেঙে ধসে পড়ে বিল্ডিংয়ের একাংশ। এর পরই হিমঘর থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হতে শুরু করে ৷
বেশ কয়েকদিন থেকেই ময়নাগুড়ি জল্পেশ এলাকায় হিমঘরটির ছাদে ফাটল লক্ষ্য করা গিয়েছিল। আশঙ্কা ছিলই যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে হিমঘরটি। কয়েকদিন আগেই হিমঘরের ছাদের একটা অংশ বসে যাওয়ায় ময়নাগুড়ির জল্পেশ হিমঘর থেকে আলু বস্তা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল প্রশাসন। এদিন আচমকাই জল্পেশ হিমঘরে ধসে পরে যাওয়াকে কেন্দ্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায়। জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াই লক্ষ আলুর বস্তা মজুত ছিল এই হিমঘরে। সেগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবে জেলা প্রশাসন ৷
উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন আগেই হিমঘরের একটা অংশে ফাটল দেখার ফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল এলাকার মানুষের মধ্যে। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের আধিকারিক এবং ইঞ্জিনিয়াররা হিমঘর ঘুরে দেখেন। এর মাঝেই হিমঘরের একটা অংশ ধসে পরে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আলু চাষীরা। হিমঘরের অ্যামোনিয়া গ্যাস চেম্বার থেকে গন্ধ বের হওয়ার ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ছাদ ভেঙে গ্যাস লিক করে বড় বিপদ ঘটতে পারে এই আশঙ্কা ছিলই। এবার তাই সত্যি হল ৷ বিষাক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাসে অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে পাঁচজনকে। পুলিশ সূত্রে খবর, এক যুবক এবং এক নাবালিকা বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে, সদর হাসপাতালে এক শিশু এবং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এক মহিলা ও এক যুবক।
আরও পড়ুন: ভিক্ষা করতে হলেও কেন্দ্রের কাছে মাথা নত না করার হুঁশিয়ারি মমতার
হিমঘর সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা স্বপন বর্মন জানান, হিমঘর থেকে বিকট আওয়াজ শোনা যায়। আলু সংরক্ষণের জন্য হিমঘরের ভিতরে অ্যামোনিয়া গ্যাস ব্যবহার করা হয়। তা লিক করলে বড় বিপদ ঘটতে পারে এই নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। তবে সেই গন্ধই বেশি করে ছড়িয়ে পরে বলে অভিযোগ। এদিন হিমঘরের ছাদ ও দেওয়াল ভেঙে পড়ার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। ব্লক আধিকারিক, কৃষি দফতরের আধিকারিক-সহ ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দলও হিমঘর পরিদর্শন করেন। হিমঘরের দায়িত্বে থাকা গৌতম দেব জানান, ছাদের একটা অংশ বসে যাওয়ার কারণেই ধসে গিয়েছে। তবে কী কারণে ছাদের ওই অংশ বসে গিয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হিমঘরে আশপাশে যাতে কেউ না যেতে পারে, তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ময়নাগুড়ির বিডিও শুভ্র নন্দী জানিয়েছেন, হিমঘরের একটা অংশ ভেঙে পড়েছে। আলু সংরক্ষণ কীভাবে করা হবে তা এগ্রি মার্কেটিং ঠিক করবে।