জলপাইগুড়ি, 8 জানুয়ারি: পঞ্চায়েতের প্রতিটি পরিবারকে সরকারি সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিতে অভিনব উদ্যোগ নিলেন প্রধান । প্রতিটি বাড়ির জন্য তিনি তৈরি করেছেন ক্যালেন্ডার । যা আর পাঁচটা ক্যালেন্ডারের থেকে আলাদা । এই ক্যালন্ডারে যেমন মাস, তারিখ আছে; তেমনই আছে পঞ্চায়েত থেকে যে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা কীভাবে পাওয়া যায় তার বিবরণ । গ্রাম পঞ্চায়েতের কোথায় গেলে কার সঙ্গে যোগাযোগ করলে সেইসব সুবিধা পাওয়া যাবে তা সবই লেখা রয়েছে ক্যালেন্ডারে । জলপাইগুড়ি জেলায় এমন উদ্যোগ এই প্রথম । এতে খুশি এলাকাবাসীও ।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের 22 জন সদস্যের মধ্যে কে কোন দায়িত্বে রয়েছেন তাঁদের নাম লেখা রয়েছে ৷ পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের কর্মীদেরও নাম উল্লেখ রয়েছে । ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা ও বিল্ডিং প্ল্যান ছাড়া বাড়ি করা যে বেআইনি, সে বার্তাও এই ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে । মৃত্যুর শংসাপত্র থেকে শুরু রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পেতে কী করবেন, কোন কোন কাগজ প্রয়োজন সবকিছুই বিস্তারিত তথ্য রয়েছে ।
এই বিষয়ে প্রধান রাজেশ মণ্ডলের বক্তব্য, "আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করে বাসিন্দাদের কাছ থেকে তাদের সমস্যার কথা শুনেছি । এরপর জিপি কর্মী, অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে পঞ্চায়েতের তৃণমূলস্তরে গিয়ে একটা সার্ভে করাচ্ছি । সেই সার্ভে ফর্মে নাম, ঠিকানা-সহ সরকারের কী সুবিধা তিনি পাচ্ছেন, কোনগুলো পাচ্ছেন না তা লেখার জায়গা থাকছে ৷ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের মোবাইল ও আধার কার্ডের নম্বর-সহ সমস্ত তথ্য নিয়ে একটা তথ্য ভাণ্ডার করা হচ্ছে ।"
2011 সালের জনসংখ্যা অনুযায়ী অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট সাড়ে 6 হাজার পরিবার ছিল ৷ বর্তমানে সেটা বেড়ে হয়েছে 8 হাজার । সেই 8 হাজার বাড়ির জন্যই ক্যালেন্ডার বানানো হয়েছে । 10টি দল প্রতি বাড়িতে গিয়ে ক্যালেন্ডার দেওয়া ও তথ্য জোগাড় করার কাজ করছে । জানুয়ারির মধ্যেই এই তথ্য ভাণ্ডার জোগাড়ের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান ।
এরপর সেই তথ্য অনুযায়ী সরকারি নিয়ম মেনে বঞ্চিত পরিবারগুলিকে সরকারি পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে ৷ প্রধান জানিয়েছেন, এই কাজের লক্ষ্য হল যাতে কোনও পরিবার সরকারি পরিষেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয় তা দেখা ।