বষ্টি মাথায় নিয়ে সকাল সকাল ভোট দিতে হাজির জলপাইগুড়ির ভোটাররা জলপাইগুড়ি, 8 জুলাই: বৃষ্টি উপেক্ষা করেই গণতন্ত্রের উৎসবে মাতলেন ভোটাররা ৷ ভরা বর্ষায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন ৷ হাওয়া অফিস আগেই লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাত ও অন্যদিকে হড়পা বানের সতর্কতা জারি করেছিল ৷ পরে অবশ্য বলা হয়, উত্তর ও দক্ষিণ কোনও জায়গায়তেই ভারী বৃষ্টি হবে না ৷ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত শুরু জেলাজুড়ে ৷ হালকা বৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ৷ তারই মধ্যে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোট দিতে এসেছেন মানুষ ৷ ছাতা মাথায় লম্বা লাইনে ভিড় জমেছে সকাল থেকে ৷ তবে এখনও পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে ৷
এই সময়ে প্রতি বছরই উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে ৷ পাহাড়ে বৃষ্টির জলে সমতলে তিস্তা ও জলঢাকা, কালজানি নদীর জলে ফুলে ফেঁপে ওঠে ৷ প্রতিবছর এই সময় বানভাসি হয় এলাকা ৷ সেই আশঙ্কা ছিলই ৷ সেই অনুযায়ী জেলা নির্বাচন দফতর সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ৷
এদিকে পাহাড়ে ভারী বৃষ্টিপাতে হলে তিস্তা নদীতে জল বাড়ার সম্ভাবনা আছে ৷ কারণ, গাজোলডোবা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হতে পারে ৷ অন্যদিকে, সিকিম ও ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা হড়পা বানের জন্য সতর্ক রয়েছে প্রশাসন ৷ এমন অবস্থায় লাগাতার বৃষ্টি, তার পাশাপাশি হড়পা বানের আশঙ্কার ফলে পঞ্চায়েত ভোট কীভাবে নির্বিঘ্নে করা যায়, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন ৷
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই ভোট, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বুটের শব্দে মিলছে নিরাপত্তার আশ্বাস
জলপাইগুড়ি জেলায় ডুয়ার্সের নাগরাকাটা, বানারহাট, মালবাজার, ক্রান্তির চাপাডাঙা, ময়নাগুড়ির বাসুসুবা, পদমতি, মোতিয়ার চর এলাকায় প্রতিবছর তিস্তা নদীর জল ঢুকে বানভাসি হয় ৷ এদিকে, বাহির চর এলাকাতেও বুথ রয়েছে সেখানে তিস্তার ভাঙনে 33 টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ অন্যদিকে আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি, জঁয়গা, আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন এলাকা, ফালাকাটা, কুমারগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ প্রতিবছর জলে ভাসে ৷ যদিও আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই নৌকা, সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের প্রস্তুত রেখেছেন ৷ পাশাপাশি এনডিআরএফ কর্মীরাও সজাগ ৷