জলপাইগুড়ি, 29 মে: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা দিয়ে কথা রাখেননি । পদ্মশ্রী পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে চেল নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছিলেন 'অ্যাম্বুলেন্স দাদা' নামে খ্যাত জলপাইগুড়ির করিমুল হক । কিন্তু আজও সেই সেতু নির্মাণ হল না । এখনও ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় নদীর উপর দিয়ে ৷ বর্ষাকালে হাল আরও বেহাল হয় ৷ জল বেড়ে যাওয়ায় ঘুর পথে গাড়ি, বাইক-সহ অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে ৷ এর জেরে 15 কিলোমিটার রাস্তা 40 কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয় । তাতে সময় বেশি লাগে আবার খরচও বাড়ে ।
ক্রান্তি থেকে মালবাজার যাতায়াতের মাঝে পড়ে এই চেল নদী ৷ এই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি বাসিন্দাদের বহুদিনের ৷ কিন্তু সেই সেতু এখনও নির্মাণ না হওয়ায় বেজায় বিপাকে পড়েছে ক্রান্তি ও মালবাজার ব্লকের বাসিন্দারা । তবে চেল নদীর ওপর সেতু না থাকায় মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রোগী নিয়ে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীণ হতে হয় ।
ওই রাস্তা দিয়েই করিমূল হক রোগী নিয়ে যান বাইকে করে ৷ বাইক অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী নিয়ে নদীর ওপর দিয়ে যাতায়াতে ঝুঁকি বেড়ে যায় ৷ ফলে সেতু হলে বাইক অ্যাম্বুলেন্স করে রোগী নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেমন সুবিধা হবে ৷ তেমনই ক্রান্তি ও মালবাজারের মধ্যে যাতায়াতের সুবিধাও হবে । এই চেল নদীতে সেতু হয়ে গেলে ক্রান্তি থেকে মালাবাজারে যেতে হলে কমপক্ষে 40 কিলোমিটার রাস্তা কমে যাবে । অন্যদিকে কাঠামবাড়ি জঙ্গল দিয়ে মালবাজার যাওয়ায় সময় বন্যপ্রাণীর হানার আশংকাও থাকে । কিন্তু এত কিছুর পরেও সেতু করার উদ্যোগ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের ।
আরও পড়ুন:প্রতিশ্রুতিই সার, টাঙ্গন নদী পেরোতে দেউড়িয়ার বাসিন্দাদের ভরসা সেই বাঁশের সাঁকো