জলপাইগুড়ি, 19 সেপ্টেম্বর : জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের তথ্য লুকোচ্ছেন উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিভাগের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (OSD) সুশান্ত রায় । করোনার মতো অজানা জ্বরে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা লুকোচ্ছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরাও । এমনটাই অভিযোগ করলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন চিকিৎসক তথা জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় ৷ এই অভিযোগ শুধু সাংসদেরই নয়, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির জেলা সম্পাদকও সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন ।
জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্তকুমার রায় বলেন, "গত 1 সেপ্টেম্বর থেকে জেলায় লাগাতার আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে । প্রতিদিন সদর হাসপাতালের শিশুদের ভর্তি করা হচ্ছে ৷ 15 দিন কেটে গেলেও হুঁশ ফিরছে না স্বাস্থ্য দফতরের । 16 সেপ্টেম্বর মনিটরিং টিম করা হল । তাহলে দুই সপ্তাহ ধরে কী স্বাস্থ্য দফতর ঘুমোচ্ছিল ?" তিনি আরও বলেন, "যদি কিছু না হয়ে থাকে তাহলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের টিম দু'বার জলপাইগুড়ি পরিদর্শনে এল কেন । কলকাতা থেকে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে 5 সদস্যের টিম জলপাইগুড়িতে এল কেন ? প্রথমে সবার ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট হল, কিন্তু আরটিপিসিআর টেস্ট করা হল না ।"
চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে রাজ্যে সর্বপ্রথম জলপাইগুড়ি জেলায় অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয় শিশুরা । প্রথম চারদিনে মোট 121টি শিশুকে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে । এখনও শতাধিক শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । এখনও পর্যন্ত জেলায় মোট পাঁচটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে ৷ যদিও সরকারিভাবে এই মৃত্যুর খবর শিকার করেনি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা । তাঁদের দাবি, যে শিশুরা মারা গিয়েছে তারা জ্বর ছাড়াও অন্যান্য রোগেও আক্রান্ত ছিল ৷ জয়ন্ত রায় এই এই বিষয়েও অভিযোগ করে বলেন, "জেলার পাশাপাশি গোটা রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা বেহাল । করোনার মতো এই অজানা জ্বরে আক্রান্ত ও মৃতের তথ্য লুকনো হচ্ছে ।"