জলপাইগুড়ি, 22 অগস্ট : আদিবাসী মহিলাকে আর্থিক প্রতারণা ও চা বাগানে অবৈধ বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে ৷ তবে তিনি সেসবের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করলেন না ৷ বললেন, সময়ে সব সত্যিটা সামনে আসবে ৷ স্বতস্ফূর্তভাবে অভিযোগের জবাবে একাধিক বিষয়ের কথা বললেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জন বার্লা ৷
আলিপুরদুয়ারের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে জন বার্লার শ্রমিক আবাসন । আর সেখানেই বাড়ি বানান তিনি ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বিতর্কের শুরু । চা বাগানের জমিতে কীভাবে বাড়ি বানিয়েছেন সাংসদ তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন । চা বাগানের জন্য লিজ দেওয়া জমিতে বাড়ি বানানোর খবর পেয়ে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক লক্ষ্মীপাড়া চা বাগান কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠিয়েছেন ৷
এই বাড়ি নির্মাণের প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "আমরা বাপ ঠাকুরদার সঙ্গে দেড়শো বছর ধরে চা বাগানে আছি । বাড়ির বানানোর অধিকার আমার আছে । আমার পরিবার এখানেই বড় হয়েছে । ঘরের প্রয়োজন আছে তাই বাড়ি বানিয়েছি । আজ পর্যন্ত আমরা এক ইঞ্চি জমিরও পাট্টা পাইনি । চা বাগানের দেওয়া ঘরে কতদিন থাকব ?" তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশ থেকে এসে বাড়ি পাচ্ছে, জমির পাট্টা পাচ্ছে ৷ আর আমরা দিন রাত এক করে ডুয়ার্সে জঙ্গল কেটে সাফ করার পরেও আমাদের বাড়ি বানানোর কোনও অধিকার নেই । এরকমই সরকার চলছে পশ্চিমবঙ্গে ৷ সারাজীবন একভাবেই কাটাতে হবে নাকি ?" প্রশ্ন তুললেন জন বার্লা ।