ধুপগুড়ির বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায় জলপাইগুড়ি, 25 সেপ্টেম্বর: ভোটে জিতেই আর্থিক ক্ষতির মুখে বিধায়ক। বিধানসভার বেতন নেবেন, নাকি কলেজের বেতন ! দোটানায় খোদ ধুপগুড়ির জয়ী তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। অবশ্য তিনি জানিয়েছেন, বিধায়ক হিসেবে শপথ গ্রহণের পর যাবতীয় নিয়ম-কানুন দেখে তারপরই সিদ্ধান্ত নেবেন।
ধুপগুড়ি মহিলা মহাবিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রধান নির্মল রায়। ধুপগুড়ি বিধানসভার ভোটে লড়তে কলেজ থেকে ছুটি নিতে হয়েছিল তাঁকে। উপনির্বাচনে জিতেও গিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বেতন ৷ বিধায়ক হিসেবে যা বেতন পাবেন নির্মল রায় তা অনেকটাই কম ৷ তাঁর দাবি, এর থেকে কলেজের অধ্যাপনার জন্য যে বেতন পেতেন বিধায়কের বেতন তার তুলনায় অনেকটাই কম। আর সে কারণেই দোটানায় জয়ী তৃণমূল প্রার্থী তথা অধ্যাপক নির্মল চন্দ্র রায়। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পরে বিপাকে বিধায়ক। এমন পরিস্থিতিতে নিয়ম কানুনের ওপরই ভরসা রাখতে হচ্ছে তাঁকে।
শপথ গ্রহণ দেরিতে হওয়ায় ধূপগুড়ির মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে, সেটা যিনি করুন না কেন সেটা সঠিক নয় বলে দাবি নবনির্বাচিত বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়ের। শপথের বিষয় নিয়ে এখনও তাঁকে কিছু জানানো হয়নি, এমনকী ফোন পর্যন্ত আসেনি ৷ ফলে বিধায়কের জন পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ। সোমবার ধূপগুড়ি সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের শেষে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এমনই জানালেন ধূপগুড়ির নব নির্বাচিত বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়।
আরও পড়ুন: রাজ্যের আর্থিক দুরবস্থা-ডেঙ্গি বৃদ্ধির কারণে বিদেশ সফর বাতিল রাজ্যপালের
শপথ প্রসঙ্গ ছাড়াও অধ্যাপক নির্মল রায়ের কলেজের ক্লাস নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "পড়াশুনা ভালো লাগে তাই শপথ নেওয়ার আগে পর্যন্ত যখন সময় পাচ্ছি তখনই কলেজে যাচ্ছি, ক্লাস নিচ্ছি। এই মুহূর্তে সরকারি অনুষ্ঠান না-থাকলে কলেজে যাব, ছাত্রছাত্রীদের পাঠ দান করাব ৷" তবে বিধায়ক ভাতা না অধ্যাপকের বেতন নেবেন তিনি, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু তিনি বলেননি। তিনি এই বিষয়ে বলেন, "শপথ নেবার পর কী আইন রয়েছে সেটা জেনে তারপর বলব।"