ময়নাগুড়ি, 13 অগস্ট:পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে এবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে এল ময়নাগুড়িতে ৷ এমনকী এই দ্বন্দ্বের জেরে রবিবার শাসক দলের 9 জন জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির তিন সদস্য ও এলাকার অঞ্চল সভাপতি দল থেকে ইস্তফাও দিলেন ৷ তৃণমূলের এই গণ ইস্তফাকে কেন্দ্র করে ময়নাগুড়ির বার্ণিশ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে । ময়নাগুড়ির বার্ণিশ গ্রামপঞ্চায়েতে মোট আসন 24 । তৃণমূল পেয়েছে 18টি ও বিজেপি পেয়েছে 6টি আসন ।
পদত্যাগকারীরা ব্লক সভাপতির মাধ্যমে তৃণমূল জেলা সভাপতির কাছে তাঁদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে খবর ৷ অভিযোগ, কল্যাণী তরফদারকে বার্ণিশ গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী তৃণমূল সদস্যরা কেউ পছন্দ করছে না । কারণ তিনি গত 10 বছর এই অঞ্চলের প্রধান ছিলেন, কিন্তু তিনি এলাকার মানুষকে সঠিক পরিষেবা দিতে পারেনি বলেই অভিযোগ । এবার তাই বোর্ড গঠনের সময় কল্যাণী তরফদারের নাম নিয়ে আপত্তি ওঠে ৷ তৃণমূলের একাংশ এই আপত্তি তোলে ৷
অভিযোগ, এই প্রতিবাদ করায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কতিপয় নেতা হামলা চালায় ৷ পাশাপাশি গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের হুমকিও দেওয়া হয় । দলের অঞ্চল সভাপতিকে হেনস্থা করা হয় ৷ এর প্রতিবাদে এদিন প্রথমে 31 নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন ওই তৃণমূল নেতারা, পরে তাঁরা পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন । মূলত জেলা তৃণমূল সভাপতি ও জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিক্ষোভকারী তৃণমূল নেতাদের । তাঁদের আরও দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই নির্দেশ জেলা নেতৃত্ব মানেনি ।
আরও পড়ুন: হাত মেলাল রাম-বাম, মরিচা পঞ্চায়েতে ক্ষমতা হারাল তৃণমূল
যদিও ময়নাগুড়ি 2 নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত জানিয়েছে, যুব তৃণমূল কর্মীরা দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর হামলা করে থাকলে বিষয়টি অবশ্যই নিন্দাজনক, অন্যায়ের ৷ তিনি বিষয়টি জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপকে জানিয়েছেন ৷ যে কর্মী ও পঞ্চায়েত সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ফের দলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হবে বলেও তিনি জানান ৷