জলপাইগুড়ি, 4 এপ্রিল: অবশেষে মিলেছে ন্যায় । ধর্ষণের অভিযোগে জামিনে থাকা ব্যক্তির দশ বছরের সাজা ঘোষণা করল জলপাইগুড়ি জেলার ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট । ধূপগুড়ির ধর্ষণকাণ্ডের মামলায় অভিযুক্ত পঞ্চানন রায়কে দোষী সাব্যস্ত করলেন বিচারক রিন্টু সুর । পাশাপাশি, অভিযুক্তকে 20 হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে । অনাদায়ে আরও তিন মাসের সাজা ঘোষণা করেছেন বিচারক । এছাড়াও নির্যাতিতা যুবতিকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত ৷
জানা গিয়েছে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক যুবতির সঙ্গে সহবাস করে ধূপগুড়ির বাসিন্দা অভিযুক্ত পঞ্চানন রায় । যুবতি গর্ভবতী হয়ে পড়লে, তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে অভিযুক্ত পঞ্চানন । এরপরেই 2011 সালে ওই যুবতি ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগের ভিত্তিতে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত পঞ্চানন রায়কে । কিন্তু তারপর জামিনও পেয়ে যায় পঞ্চানন । দীর্ঘদিন জামিনে ছাড়া থাকার পর অবশেষে তাঁর বিরুদ্ধে সাজা ঘোষাণা করেছেন বিচারক ।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী, অধরা অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী
জলপাইগুড়ি আদালতের সহকারী সরকারি আইনজীবী বিশ্বরূপ রায় বলেন,"ঘটনায় অভিযুক্ত পঞ্চানন রায় যুবতির সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে । এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করতে থাকেন তাঁরা । কিন্তু যুবতি গর্ভবতী হওয়ার পরেও অভিযুক্ত তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে । এরপরেই ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় । এরই মাঝে মামলা চলাকালীন যুবতি একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন । এই মামলায় মোট 7 জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় । সোমবার বিচারক পঞ্চানন রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেন । মঙ্গলবার পঞ্চানন রায়কে 10 বছরের সাজার শোনানোর পাশাপাশি 20 হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সাজা ঘোষণা করেছেন বিচারক । অন্যদিকে যুবতিকে চার লক্ষ টাকা ও তাঁর সন্তানকে দুই লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ।"
অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবী দেবারতি সাহা বলেন,"আমার মক্কেল নির্দোষ । তাকে ফাঁসানো হয়েছে । জেলা আদালত থেকে সাজা ঘোষণা হয়েছে তাঁর । আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব ।"