পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Mal River Incident: হড়পা বানের হাত থেকে শিশুকে বাঁচালেন যুবক - মালবাজার হড়পা বান

দশমীর রাতে হড়পা বানে মারা যায় 8 জন ৷ ওই দিনই ভেসে যাওয়া এক শিশুকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচান এক যুবক ৷ ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি তার পরিবার (Man Saved Child from Harpa Ban) ৷

Mal River Incident
হড়পা বানের হাত থেকে শিশুকে বাঁচালেন যুবক

By

Published : Oct 8, 2022, 10:49 PM IST

জলপাইগুড়ি, 8 অক্টোবর: হড়পা বানের হাত থেকে চার বছরের শিশুকে বাঁচিয়ে পণ্ডিত পরিবারের কাছে ভগবান সন্তু চৌধুরী নাম এক যুবক (Man Saved Child from Harpa Ban) । মালবাজারের মাল নদীর ঘাটে বিসর্জন চলাকালীন হড়পা বানে প্রচুর মানুষ ভেসে যান । অনেকে উদ্ধার হলেও হড়পা বানের জলে ভেসে মৃত্যু হয় 8 জনের । সেই সময় চার বছরের শিশুকে বাঁচায় সন্তু । আজ সন্তুকে সবার সামনে তুলে ধরেন শিশুটির পরিবার ।

মালবাজারের বিসর্জন ঘাটে ছিলেন মালবাজারের বাসিন্দা তথা সন্তু চৌধুরী । তিনি পেশায় সাংবাদিক ৷ হড়পা বানের সময় মালবাজার পুরসভার 2 নং বাজার রোডের বাসিন্দা অভিজ্ঞান পণ্ডিত (4) জলে পড়ে যায় । সে সময় সন্তু তাকে উদ্ধার করে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসেন । প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে তাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেন । আজ সন্তু বাচ্চাটির পরিবার সন্তুকে তাঁদের বাড়িতে ডেকে মিষ্টিমুখ করায় । তাঁরা এও জানান, সন্তু তাদের কাছে ভগবান । না-হলে তাঁদের পরিবারের সকলে যখন নদী থেকে উদ্ধার হয়েছিলেন তখন তারা তাদের শিশুটিকে পাচ্ছিলেন না । পরে সন্তু খোঁজ চালিয়ে তাঁদের সন্তানকে ফিরিয়ে দেন ।

আরও পড়ুন:হড়পায় ভেসে যাওয়াদের উদ্ধার, 4 'রিয়েল হিরো'কে সংবর্ধনা

অভিজ্ঞানের পরিবারের তরফে জানা যায়, আমরা আমাদের পরিবারের সঙ্গে বিসর্জন ঘাটে গিয়েছিলাম ৷ হঠাৎই সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় । সন্তু আমাদের বাচ্চাকে ফিরিয়ে দিয়েছে । আমরা সন্তুর কাছে কৃতজ্ঞ থাকব সারাজীবন ।

মালবাজার পুরসভার 3 নং ওয়ার্ডের আদর্শ কলোনির বাসিন্দা সন্তু চৌধুরী জানান, বিসর্জনের দিন আমি নদীতেই ছিলাম । জল বাড়ায় আমরা নদী থেকে উঠে আসি । দেখি জলে অনেকেই পড়ে যাচ্ছে । তখন নেমে পরি । দেখি একটি বাচ্চা বাবার এক হাতে আর একহাতে বাচ্চাটির দিদি । বাচ্চাটির বাবার হাত থেকে আলগা হবার সঙ্গে সঙ্গে আমি ধরে ফেলি । না-হলে বাচ্চাটিও ভেসে যেত । তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসি । এরপর তাকে নিয়ে ফেরার সময় একজন বাচ্চাটিকে চিনতে পারে । তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি । আমি বাচ্চাটিকে পরিবারের হাতে তুলে দিই ।

তিনি আরও জানান, দীর্ঘ দিন সমাজসেবার কাজের সঙ্গে যুক্ত আছি । চোখের সামনে কেউ বিপদে পড়বে তাকে সাহায্য করব না, এটা হতে পারে না । আমার বিবেকবোধ থেকেই কাজটা করেছি । আমার খুব ভালো লাগছে একটা প্রাণ বাঁচাতে পেরে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details