জলপাইগুড়ি, 19 অগস্ট: নাবালিকা সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল এক ব্যক্তির । নেশার ঘোরে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করে গলা টিপে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ওই ব্যক্তি ৷ দীর্ঘ সাত বছর ধরে মামলা চলার পর শনিবার ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আলিপুরদুয়ার জেলা অতিরিক্ত দায়রা আদালত । দীর্ঘ সাত বছর ধরে মামলা চলার পর শনিবার আদালতে ওই ব্যক্তির সাজা ঘোষণা করেন বিচারক ৷
সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের পর মৃতদেহ নদীর তীরে পুঁতে দিয়েছিল ওই ব্যক্তি ৷ 2016 সালের 25 মার্চের ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ফালাকাটা থানা এলাকায় ৷ ঘটনাটি ঘটেছিল হোলির দিন ৷ আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থানার পশ্চিম ফালাকাটায় বাড়ি ওই ব্যক্তির ৷ জানা গিয়েছে, হোলির দিন নেশা করেছিল সে ৷ নেশার ঘোরেই তার নাবালিকা সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি । পরে সৎ মেয়েকে গলা টিপে খুন করে সে ৷ তদন্তে জানা গিয়েছে, খুনের পর ওই নাবালিকা সৎ মেয়ের দেহ লোপাটের জন্য সে বাড়ি থেকে কয়েকশো মিটার দূরেই মুজনাই নদীর বালির চরে পুঁতে রেখেছিল সে ৷ পরে অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়েটির খোঁজে তদন্ত শুরু করে পুলিশ ৷ পুলিশ গোয়েন্দা কুকুরের সাহায্য নিয়ে নদীর চরে বালির নীচ থেকে ওই নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করে ৷ গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে ৷