জলপাইগুড়ি, 15 এপ্রিল : কোয়ারান্টাইন সেন্টার খোলা হবে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে। খবরটা চাউর হতেই ডাকবাংলোর গেট বাঁশ দিয়ে আটকে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয়রা । তাঁদের দাবি কোনওভাবেই এই এলাকায় কোয়ারান্টাইন সেন্টার খুলতে দেওয়া যাবে না । এনিয়ে ময়নাগুড়ির BDO-র কাছে একটি আবেদনপত্রও জমা দেন তাঁরা ।
জলপাইগুড়ির ডাকবাংলোতে কোয়ারান্টাইন খোলার প্রস্তাব, বিক্ষোভ স্থানীয়দের
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে কোয়ারান্টাইন খোলার প্রস্তাব করা হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে । খবরটা জানাজানি হতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয়রা ।
স্থানীয়দের তরফে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে চিকিৎসকদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাতে কোনও আপত্তি ছিল না তাঁদের । কিন্তু গতরাতে ডাকবাংলোতে কয়েকটি বেড ঢোকানো শুরু হয় । দ্রুত খবরটা ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায় । আজ দুপুরে ডাকবাংলোর গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে স্থানীয়রা । বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে দেয় গেট । তাঁদের দাবি, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোয়ারান্টাইন সেন্টার করা যাবে না । ডাকবাংলোতে চিকিৎসক, নার্স বা স্বাস্থ্য কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা হলে কোনও অসুবিধা নেই । প্রয়োজনে তাঁদের রান্না করে খাওয়ানো হবে । কিন্তু রোগীদের থাকার জায়গা করতে দেওয়া হবে না । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছান পঞ্চায়েত সদস্যাও । শেষমেশ প্রশাসনের তরফে অনেক বুঝিয়ে তাঁদের শান্ত করা হয় ।
এবিষয়ে ময়নাগুড়ির BDO ফিন্টোশ শেরপা বলেন, "আমরা প্রাথমিকভাবে ডাকবাংলোকে চিহ্নিত করেছিলাম। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসকরা থাকছেন। কিন্তু স্থানীয়রা কোয়ারান্টাইন সেন্টারের কথা শুনেই ভয় পাচ্ছে। তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন । আমাকে একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন স্থানীয়রা। আপাতত সেখানে কিছুই হচ্ছে না । তবে জরুরি অবস্থা দেখা দিলে আমাদের ডাকবাংলো নিতেই হবে । তখন কারও কথা শোনা যাবে না ।"