জলপাইগুড়ি, 21 সেপ্টেম্বর: অবৈধ নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের সঙ্গে নাম জড়াল পদ্মশ্রী করিমুল হকের। l তাঁর নাম ব্যবহার করে মার্কেটিং করা হত দিশারী নার্সিং সেন্টারের, এমনটাই অভিযোগ দিশারী নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধারের বিরুদ্ধে ৷ এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন পদ্মশ্রী করিমুল হক। পাশাপাশি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকেরও দ্বারস্থ হয়েছেন করিমুল। স্বাস্থ্য দফতরের অভিযানের পর অবৈধভাবে চলা দিশারী নার্সিং সেন্টারের ঝাপ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। করিমুল হকের দাবি, শান্তনু শর্মা ভুল বুঝিয়ে তাঁর বাড়িতে সেন্টারটি চালাত।
বৃহস্পতিবার পদ্মশ্রী করিমুল হক অভিযোগ করে বলেন, "দিশারী নার্সিং সেন্টারের কর্ণধার শান্তনু শর্মা করিমুলের নাম ও ছবি ব্যবহার করে সেন্টারের প্রচার চালাত। সেটা তিনি জানতেন না। এমনকী তার দিশারী নার্সিং সেন্টার ভুয়ো। তার যে কোনও বৈধ কাগজ নেই সেটাও আমার জানা ছিল না। এখন দেখছি আমার নাম করে প্রচার চালানো হত। আমার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর আমার বাড়িতে নার্সিং সেন্টার করার কথা বলে। আমিও ভেবেছিলাম গ্রামের মেয়েরা প্রাথমিক চিকিৎসা অন্ততপক্ষে শিখতে পারবে।"
করিমুল আরও জানান, যখন প্রশিক্ষণ শেষে সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য বলা হয়, তখন সার্টিফিকেট পিছু 20 হাজার টাকা নেওয়া হয় গ্রামের মেয়েদের কাছ থেকে। শান্তনু শর্মার বিরুদ্ধে আমি কোতয়ালি থানায় ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে অভিযোগ করেছি। আমি যদি দোষ করি তাহলে আমারও শাস্তি হোক ৷ কিন্তু শান্তনু শর্মার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ হোক। দিশারী নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারটি শান্তনু শর্মা ও তাঁর স্ত্রী অনুস্মিতা শর্মা চালাতেন। শান্তনু শর্মার শ্বশুড়বাড়িতে চলত প্রধান সেন্টারটি। করিমুলের বাড়িতে তিন মাস ধরে চলত আরও একটি শাখা ৷