জলপাইগুড়ি, 1 জুলাই: মণিপুরের ননে জেলায় ধসের কবলে পড়ে প্রাণ হারালেন জলপাইগুড়ির সেনা জওয়ান শংকর ছেত্রী । জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটায় বাড়ি তাঁর ৷ শংকর ছেত্রী (30)-এর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায় । মণিপুরের ঘটনার পর নাগরাকাটার মংরুপাড়ার খাসবস্তিতে শংকরের বাড়িতে টেলিফোনে খবর দেওয়া হয় ।
সেনাবাহিনীর গৌহাটির জনসংযোগ আধিকারিক অঙ্গাম ববিন সিং জানান, মণিপুরের নানে (Noney) জেলাতে রেলের নির্মীয়মান জিরিবাম থেকে ইম্ফলের যোগাযোগকারী টুপুল রেলওয়ে স্টেশনে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন । সেখানে ধসের ফলে চাপা পড়ে যান সেনা আধিকারিক ও জওয়ানরা । আসাম রাইফেল, টেরিটোরিয়াম আর্মি উদ্ধার কাজে নামে । এনডিআরএফ, এসডিআরএফ ও স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে ।
জিওসি ইস্টার্ন কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরপি কলিতাও ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন । এখনও পর্যন্ত সেনাবাহিনীর 20 জন সদস্যকে উদ্ধার করা গিয়েছে । 13 জন আহত হয়েছেন । 7 জন মারা গিয়েছেন । নিখোঁজ রয়েছেন 23 জন । অন্যদিকে রেলের 3 জন আধিকারিক, রেলের কুক-সহ 27 জন নিখোঁজ আছেন বলে খবর (massive landslide in Manipur Tupul yard railway construction Camp) ৷
আরও পড়ুন :Manipur Landslide: মণিপুরের টুপুলে ভয়াবহ ভূমিধসে মৃত অন্তত 7, নিখোঁজ প্রায় 45
শংকরের স্ত্রী পুনম ছাত্রী জানান, বুধবার শংকরের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর । কোনও চিন্তা করতে না বলেছিল । পুনমদেবী আরও জানান, মণিপুরে ডিউটিতে গিয়েছিল । ফোনে বারবার বলত দুঃশ্চিন্তা না করতে। আজ বিকেলে আমাদের ফোন করে জানানো হয় শংকর আর নেই । আচমকা পাহাড়ের ধসে প্রথমে আহত হন তিনি, পরে মারা যান । শংকরের পাঁচ বছরের কন্যা রয়েছে । আগে নাগরাকাটা থানার সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন তিনি ৷ তারপর সেনাবাহিনীতে যোগ দেন । মার্চ মাসে বাবার চিকিৎসার জন্য বাড়িতে এসেছিলেন । অগাস্ট মাসে বাবাভোজ বাহাদুর ছেত্রীর অপারেশনের জন্য নাগরাকাটার বাড়িতে আসার কথা ছিল শংকরের । কিন্তু আর আসা হল না । এবার কফিন বন্দি হয়ে বাড়ি ফিরবে শংকর ।