পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

থাপ্পড় খেয়ে কর্তব্যে মনযোগ দেবেন বলে মুচলেকা স্বাস্থ্যকর্মীর - cmoh

জলপাইগুড়ি CMOH(3)-এর কাছে থাপ্পর খেয়েছিলেন এক স্বাস্থ্য়কর্মী । CMOH(3)-এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল । গতকাল আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়েছে ।

helath
স্বাস্থ্য

By

Published : May 6, 2020, 1:55 PM IST

জলপাইগুড়ি, 6 মে: থাপ্পড় খেয়ে কর্তব্যে মনযোগ দেবেন বলে মুচলেকা দিলেন স্বাস্থ্যকর্মী । ওই কর্মীকে কাজে গাফিলতির অভিযোগে থাপ্পড় মেরেছিলেন ডেপুটি CMOH(3) । সেই ঘটনার মিটমাট হয় গতকাল । মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয় । এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলে লিখিত দেন ডেপুটি CMOH(3) । এদিকে থাপ্পড় খাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীও লিখিত দেন, তিনিও কর্তব্যে মনযোগ দেবেন । গাফিলতি করবেন না । একাধিকবার কর্তব্যে গাফিলতির জেরেই ওই স্বাস্থ্যকর্মী থাপ্পড় খেয়েছিলেন বলে দাবি ডেপুটি CMOH(3)-এর । তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই স্বাস্থ্যকর্মী ।

1 মে জলপাইগুড়ি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরের একজন আপার ডিভিশন ক্লার্ককে কর্তব্যরত অবস্থায় প্রকাশ্যে চড় মারার অভিযোগ ওঠে জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (3) দেবাশিস রায়ের বিরুদ্ধে। এরপর সোমবার বিকালে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের(স্বাস্থ্য শাখা) সদস্যরা দেবাশিস রায়ের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানার জন্য দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। এরপরেই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেন্দ্রনাথ প্রামাণিক দেবাশিস রায়কে শো-কজ় করেন।

গতকাল মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন (স্বাস্থ্য শাখা) ও দুই পক্ষ আলোচনায় বসে । সমস্যার সমাধান হয় । দেবাশিস রায়ের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারি ফেডারেশনের (স্বাস্থ্য শাখা) পক্ষ থেকে । শাস্তি হিসেবে তাঁর বদলির দাবি করে বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের প্রধান সচিব ও স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছিল ।

জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (3) দেবাশিস রায় জানান, "সমস্যা মিটে গেছে গতকালের বৈঠকে । তবে ওই কর্মীর কর্তব্যে অনেক গাফিলতি রয়েছে । আমি আগেও সচেতন করেছিলাম । সেদিন একটা গুরুত্বপূর্ণ কাগজ নিয়ে তিনি গাফিলতি করেছিলেন । তাই আমার মাথা গরম হয়ে যায় । তাঁকে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি জেলা সদর হাসপাতালের সুপারের হাতে পৌঁছে দিতে বলেছিলাম । কিন্তু তিনি চিঠিটি সুপারের কাছে না দিয়ে সুপারের অনুপস্থিতিতে তাঁর দপ্তরে দিয়ে আসেন । চিঠিটি কোথায় দিয়েছেন সেটা ঠিকমতো না বলে হাসতে থাকেন । আমার মাথা গরম হয়ে যায় । তবে ওই কর্মী ফেসবুকে নিজেকে স্বাস্থ্য বিভাগের অফিসার বলে পরিচয় দিয়েছে শুনলাম । আমি প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করব ।"

গতকাল অভিযোগ প্রত্যাহারের বিষয়ে ওই কর্মী লিখিত দেন । শিকার করে নিয়েছেন পরবর্তীতে অফিসের কাজ মনোযোগ সহকারে করবেন ।

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details